অ্যাসাঞ্জকে টেনে-হিঁচড়ে বের করার ভিডিও

সাড়া জাগানো বিকল্পধারার সংবাদমাধ্যম উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে ইকুয়েডর দূতাবাস থেকে গ্রেফতারের সময় করা একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে রুশ সম্প্রচার মাধ্যম আরটি। ভিডিওতে  দেখা যায়, অ্যাসাঞ্জকে টেনে-হিঁচড়ে গাড়িতে ‍তুলছে লন্ডন পুলিশ। সে সময় অ্যাসাঞ্জকে চিৎকারও করতে দেখা যায়।

Capture

২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত সাড়াজাগানো বিকল্প সংবাদমাধ্যম উইকিলিকস বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তুলতে সক্ষম হয় ২০১০ সালে। মার্কিন কূটনৈতিক নথি ফাঁসের মধ্য দিয়ে উইকিলিকস উন্মোচন করে মার্কিন সাম্রাজ্যের নগ্নতাকে। সুইডেনে দুই নারীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠার পর ২০১২ সালের জুন থেকে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসের আশ্রয়ে ছিলেন উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। তবে তার বিরুদ্ধে ওঠা ধর্ষণের অভিযোগকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে মনে করে মুক্তমতের পক্ষের অ্যাকটিভিস্টরা। ২০১৮ সালের জুনে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর থেকে জানা যায়, ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট অ্যাসাঞ্জের রাজনৈতিক আশ্রয়ের সুরক্ষার অবসান ঘটাতে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। সম্প্রতি ইকুয়েডর অভিযোগ তুলছে, দেশটির প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনোর ব্যক্তিগত নথি ফাঁসও ছড়িয়ে দিচ্ছে উইকিলকস। এ মাসেই অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের অভিযোগে লন্ডন দূতাবাস থেকে এক কর্মকর্তাকে সরিয়ে নেয় ইকুয়েডর।

দীর্ঘ সাত বছর পর তার রাজনৈতিক আশ্রয় প্রত্যাহার করে ইকুয়েডর। ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনো বলেন, বারবার আন্তর্জাতিক ‍চুক্তি লঙ্ঘন করায় অ্যাসাঞ্জের রাজনৈতিক আশ্রয় প্রত্যাহার করেছে তারা।

এরপরই লন্ডন পুলিশকে ডেকে এনে ধরিয়ে দেওয়া হয় অ্যাসাঞ্জকে। লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ জানায়, আদালতে আত্মসমর্পণ না করায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, তার বিরুদ্ধে জারি করা পরোয়ানা বাস্তবায়নের দায়িত্ব ছিলো পুলিশের। ইকুয়েডর সরকার তার রাজনৈতিক আশ্রয় প্রত্যাহারের পর ইকুয়েডরের রাষ্ট্রদূত পুলিশকে দূতাবাসে ডেকে নেন।