ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্টের নেপথ্য শক্তির উৎখাত চায় সুদানের বিক্ষোভকারীরা

আফ্রিকার দেশ সুদানে সামরিক অভ্যুত্থানে পদচ্যুত নেতা ওমর আল বশির নেতৃত্বাধীন সরকারের সব পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। এক মুখপাত্র জানান, সব নেতাদেরই বিচারের আওতায় আনতে হবে। তারা ‌'ছায়ারাষ্ট্রে' পতন চান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

_106454895_053448356

জ্বালানি ও রুটির দাম বৃদ্ধির এক সরকারি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে গত বছরের ডিসেম্বরে সুদানে বিক্ষোভ শুরু হয়। ১৯৮৯ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরকে সরাতে সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন বিক্ষোভকারীরা। তবে সেনাবাহিনী দৃশ্যত প্রেসিডেন্টের পক্ষে থাকায় সম্প্রতি দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সেনা সদরের সামনে অবস্থানের ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা। এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার সেনা অভ্যুত্থানের খবর আসে। ওই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন সামরিক কাউন্সিলের প্রধান আওয়াদ ইবনে আউফ। তবে তাকেও বশিরের ঘনিষ্ঠ আখ্যা দিয়ে রাজপথে অবস্থান ধরে রাখেন বিক্ষোভকারীরা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের পর সামরিক কাউন্সিল দেশটির ক্ষমতা নিয়েছে।

ইতোমধ্যে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন সামরিক পরিষদ। তারপরও সামরিক সদর দফতরের সামনে বেসামরিক সরকারের দাবিতে বিক্ষোভ করছে অনেকে।  সেখানে ‘স্বাধীনতা’ ও ‘বিপ্লব’ বলে স্লোগান দেওয়া হচ্ছে‌।

গত ডিসেম্বরে শুরু হওয়া সুদানের বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিচ্ছে দেশটির পেশাজীবী সংস্থা (এসপিএ)। এক ফেসবুক পোস্টে এসপিএ বলেছে, আমরা সশস্ত্র বাহিনীকে এখনই বেসামরিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি। তারা জনান, ‌আমরা আশা করি সবাই বিপ্লবকে সমুন্নত করতে এই আন্দোলনে অংশ নেবে।

সামরিক এক মুখপাত্র বলেন. আন্দোলনরতদের ছত্রভঙ্গ করা হবে না। বিরোধী দলকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ব্যাপারেও পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তারা। রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে সামরিক মুখপাত্র মেজর জেনারেল শামস আদ দিন শান্ত বলেন, বিরোধী দলগুলো যে প্রস্তাব দেবে সেই বেসামরিক সরকার গঠনে সামরিক পরিষদ প্রস্তুত। তিনি বলেন, ‘আমরা নিয়োগ দেবো না। তারাই কাউকে পছন্দ করে দেবেন।’