সাইবার হামলা বাড়ার দাবি ইকুয়েডরের, সহায়তা নেবে ইসরায়েলের

উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের রাজনৈতিক আশ্রয় বাতিলের পর ইকুয়েডর সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট হ্যাকিংয়ের চেষ্টা দ্বিগুণ বেড়েছে বলে দাবি করেছে দেশটি। সোমবার ইকুয়েডরের সহকারী টেলিকমিউনিকেশন মন্ত্রী প্যাট্রিসিও রিয়াল এই দাবি করেন। তিনি বলেন, বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৪ কোটি বার হ্যাকিং প্রচেষ্টার মুখে পড়ছে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট। ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্টের দফতর, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট হ্যাকিং প্রচেষ্টার মুখে পড়ার কথা বললেও এজন্য কারা দায়ী তানিয়ে সরাসরি কোনও অভিযোগ করেননি মন্ত্রী। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইসরায়েলের সহায়তা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ইকুয়েডরের এই মন্ত্রী।যুক্তরাজ্য পুলিশের গাড়ি থেকে সংবাদকর্মীদের উদ্দেশে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ

২০১২ সালের জুন থেকে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ৪ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) উইকিলিকসের টুইটে বলা হয়, ইকুয়েডর সরকারের উচ্চ পর্যায়ের দুইটি সূত্র থেকে তারা নিশ্চিত হয়েছে যে কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিনের মধ্যে অ্যাসাঞ্জকে দূতাবাস থেকে তাড়ানো হতে পারে। সেই ধারাবাহিকতায় রাজনৈতিক আশ্রয় প্রত্যাহার করে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) তাকে ব্রিটিশ পুলিশের হাতে তুলে দেয় ইকুয়েডর। 

ওই ঘটনার পর থেকে ইকুয়েডরের সরকারি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটের ওপর হ্যাকিংয়ের চেষ্টা বেড়েছে বলে দাবি করেন ইকুয়েডরের সহকারী টেলিকমিউনিকেশন মন্ত্রী প্যাট্রিসিও রিয়াল। কারা এই প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হ্যাকারদের পরিচয় জানা কঠিন। তবে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাইবার হামলার কৃতিত্ব নেওয়া হ্যাকিং গ্রুপ অ্যানোনিমাস ইকুয়েডরের জন্য হুমকি তৈরি করেছে। রিয়াল বলেন, ১১ এপ্রিল বিকেলে আমরা সাইবার হামলায় আক্রান্তদের তালিকায় ৫১তম অবস্থান থেকে ৩১তম স্থানে চলে আসি।

রিয়াল দাবি করেন, হ্যাকিং প্রচেষ্টার কারণে এখন পর্যন্ত কোনও সরকারি তথ্য চুরি হয়নি তবে সরকারি কর্মচারি ও নাগরিকেরা এসব ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে সমস্যার মুখে পড়েছেন। তিনি বলেন, সাইবার নিরাপত্তার জন্য ইসরায়েলের সহায়তা নেবেন।

প্রসঙ্গত, অ্যাসাঞ্জের গ্রেফতারের নেপথ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার কথা আর কারও অজানা নয়। অভিযোগ উঠেছে,ঋণ মওকুফের শর্তে ইকুয়েডরের বর্তমান সরকার তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে রাজি হয়েছে। ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষও স্বীকার করেছে,যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যপর্ণের অনুরোধ সাপেক্ষেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।