মুলারকে বরখাস্ত করতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ নিয়ে রবার্ট মুলারের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে প্রেসিডেন্ট ক্ষমতা হারাতে পারেন এই ভয়ে সেই তদন্ত বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি মুলারকে বরখাস্ত করারও পরিকল্পনা ছিলো তার। ৪০০ পৃষ্ঠারও বড় ওই প্রতিবেদনে এমন অনেক অভিযোগ আনা হয়েছে।   

54NX5OCLDYI6TN42SYMYHN7AZU

২০১৬ সালের নভেম্বরে মার্কিন নির্বাচনে রুশ সংযোগের বিষয়টি অনেকদিন ধরেই আলোচনার কেন্দ্রে। নির্বাচনকে প্রভাবিত করে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জেতাতে মস্কো প্রপাগান্ডা ছড়িয়েছিল এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেছে বলে আশঙ্কা করছিলো সে দেশের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই। সংস্থাটির পরিচালকের পদ থেকে জেমস কোমিকে বরখাস্তের পর এই তদন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্টের দিকে মোড় নেয়। ২০১৭ সালের মে মাসে এ সংক্রান্ত তদন্তের দায়িত্ব পান সাবেক এফবিআই পরিচালক রবার্ট মুলার। মার্চে দেশটির আইনমন্ত্রীর কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) প্রায় ৪৫০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনটি দুই ভাগে বিভক্ত। প্রথমভাগে রয়েছে নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ সংক্রান্ত আলোচনা। আর দ্বিতীয়ভাগে রয়েছে তদন্ত ও বিচার বাধাগ্রস্ত করতে ট্রাম্প ও তার প্রচারণা শিবিরের প্রচেষ্টা।  

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প মুলারকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘প্রতিবেদনকে  বাধাগ্রস্ত করার সবগুলো প্রয়াসই ব্যর্থ চিলো। কারণ তার চারপাশের সবাই তার এই নির্দেশ কিংবা অনুরোধ মানতে নারাজ ছিলো।

প্রতিবেদন অনুযায়ী বিচার বাধাগ্রস্ত করার আরও যেসব প্রচেষ্টা হয়েছে, তার মধ্যে আছে:

 ট্রাম্পের নির্দেশে সাবেক এফবিআই পরিচালক জেমস কোমির বরখাস্ত হওয়া

মুলারের তদন্তের পর্যালোচনা ছিনিয়ে নিতে ট্রাম্পের প্রচেষ্টা

মুলারকে যে ট্রাম্প বরখাস্ত করার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন তা অস্বীকার করতে হোয়াইট হাউসের কাউন্সেল ডোনাল্ড ম্যাঘানের প্রতি ট্রাম্পের নির্দেশ

মাইকেল ফ্লিন, পল মানাফোর্ট এবং মাইকেল কোহেনসহ অপরাধে দোষী সাব্যস্ত সহযোগীদের প্রতি ট্রাম্পের আচরণ।

বৃহস্পতিবার প্রায় সাড়ে চারশ পৃষ্ঠার মুলার-প্রতিবেদন জনসম্মুখে আনা হয়। প্রতিবেদনটির প্রথমভাগে রয়েছে নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ সংক্রান্ত আলোচনা। বহুল প্রতীক্ষিত প্রতিবেদনে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে সে দেশের গোয়েন্দারা মার্কিন নির্বাচন প্রভাবিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। হিলারি ক্লিন্টনকে হারিয়ে ট্রাম্পকে বিজয়ী করার মধ্য দিয়ে স্বার্থ হাসিলের চেষ্টায় লিপ্ত ছিল ক্রেমলিন।