অ্যাসাঞ্জের সমর্থক সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধরতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেবে ইকুয়েডর

সাড়া জাগানো বিকল্পধারার সংবাদমাধ্যম উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের পক্ষে সোচ্চার হয়ে সরকারের রোষানলে পড়েছিলেন ইকুয়েডরের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিকার্ডো পাতিনো। তার বিরুদ্ধে মোরোনো সরকার তদন্ত শুরু করার পর থেকেই পলাতক অবস্থায় রয়েছেন তিনি। তবে তাকে ইন্টারপোলের রেড নোটিস তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।

Foreign Minister Ricardo Patino২০১২ সালের জুন থেকে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ৪ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) উইকিলিকসের টুইটে বলা হয়, ইকুয়েডর সরকারের উচ্চ পর্যায়ের দু’টি সূত্র থেকে তারা নিশ্চিত হয়েছে, কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিনের মধ্যে অ্যাসাঞ্জকে দূতাবাস থেকে তাড়ানো হতে পারে। সেই ধারাবাহিকতায় রাজনৈতিক আশ্রয় প্রত্যাহার করে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) তাকে ব্রিটিশ পুলিশের হাতে তুলে দেয় ইকুয়েডর।

মোরেনো সরকারের সমালোচনা করে অ্যাসাঞ্জের গ্রেফতারের বিরোধিতায় সরব ছিলেন ৬৪ বছর বয়সী পাতিনো। তিনি মোরেনোর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করে ‘বেইমানী’র অভিযোগ আনেন। তিনি বলেছিলেন, ‘মোরেনো দুর্নীতি ঢাকতে আমাদের বিচারের শিকার হতে হচ্ছে। তবে  আমরা মাথা উঁচু করে লড়াই করবো।’ এরপর রিকার্ডো পাতিনোর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে অ্যাটর্নি জেনারেলের দফতর। তার বিরুদ্ধে জনসাধারণকে সরকারের বিরুদ্ধে উস্কে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া উইকিলিকসের হয়ে হ্যাকিংয়ের দায়ে গ্রেফতারকৃত সুইডিশ সফটওয়ার ডেভেলপনার ওলা বিনির সঙ্গেও যোগসাজস ছিলো তার।

তদন্ত চলাকালীন অবস্থাতেই পাতিনোকে আটকের নির্দেশ দিয়েছিলো আদালত। তবে এরপর থেকেই পলাতক রয়েছেন তিনি। সংবাদমাধ্যমের খবর থেকে জানা যায়, তিনি পেরুতে পাড়ি জমিয়েছেন। তারপরই ইন্টারপোলের কাছে তার বিরুদ্ধে রেড নোটিস জারির অনুরোধ জানায় ইকুয়েডর।