সুদানে বিক্ষোভ অব্যাহতের ডাক, বিশৃঙ্খলতার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি সেনাবাহিনীর

দীর্ঘদিনের শাসক ওমর আল বশিরে পতনের পর সামরিক-বেসামরিক যৌথ সরকার গঠনের দাবিতে আবারও আন্দোলনের ডাক দিয়েছে সুদানের বিক্ষোভকারীদের নেতারা। সেনাবাহিনীর তরফে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি জানানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আগামী ২ মে দেশটিতে লাখ লাখ মানুষের মিছিলের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার এ বিবৃতিতে বেসামরিক সরকারের দাবিতে আন্দোলনরত রাজনৈতিক দলগুলোর জোট এই মিছিলের ডাক দেয়।noname

রুটি ও জ্বালানির দাম বাড়ানো কেন্দ্র করে গত ডিসেম্বরে শুরু হওয়া ওই বিক্ষোভের মুখে গত ১১ এপ্রিল ক্ষমতাচ্যুত হন সুদানের দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশির।  তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতা নেয় দেশটির সামরিক কাউন্সিল। তবে ক্ষমতা কাঠামো থেকে বশির ঘনিষ্ঠদের সরানো এবং বেসামরিক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে সেনাকাউন্সিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অব্যাহত থাকে। এর জের ধরেই শনিবার আলোচনায়  বসে দুই পক্ষ। ওই বৈঠকের পর  সামরিক কাউন্সিলের মুখপাত্র শামস এলদিন কাবাসি নির্বাচনের আগ পর্যন্ত দেশ পরিচালনায় একটি যৌথ কাউন্সিল প্রতিষ্ঠার বিষয়ে ঐক্যমত হওয়ার কথা জানালেও এখনও সেই সরকার গঠিত হয়নি। এমন প্রেক্ষাপটে জরুরি সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখতে রাস্তা ফাঁকা রাখতে মঙ্গলবার আহ্বান জানায় সেনাবাহিনী।

তবে মূল আন্দোলনকারীদের গ্রুপ সুদানিজ প্রফেশনালস অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাজি আল আসাম মঙ্গলবার বলেন, সামরিক কাউন্সিল বেসামরিক কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়ে সিরিয়াস না। সময় ক্ষেপণের মাধ্যমে সামরিক কাউন্সিল ক্ষমতা বাড়াচ্ছে আর তা সুদানের বিপ্লবের জন্য বড় ধরণের বিপদের কারণ।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, আট বেসামরিক প্রতিনিধি ও সাত সামরিক কর্মকর্তার সমন্বয়ে গঠিত কাউন্সিলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুক বশিরকে ক্ষমতাচ্যুত করে দায়িত্ব নেওয়া সামরিক কাউন্সিল। তবে ক্ষমতাসীন সামরিক কাউন্সিল বলছে সাত সামরিক প্রতিনিধির সাথে তিন বেসামরিক প্রতিনিধির সমন্বয়ে দশ সদস্যের কাউন্সিল দেশ পরিচালনা করবে।

মঙ্গলবার সামরিক কাউন্সিলের ডেপুটি প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো সাংবাদিকদের বলেন, বিক্ষোভ আয়োজকদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে চায় সামরিক কাউিন্সল।  আমরা আলোচনা চালিয়ে যেতে প্রস্তুত তবে আজকের পর আর কোনও বিশৃঙ্খলা নয়।