ভেনেজুয়েলায় অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা নস্যাতের দাবি মাদুরোর

ভেনেজুয়েলায় বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুইদোর ডাকা অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা নস্যাৎ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। তিনি বলেন, ভেনেজুয়েলা কখনোই সাম্রাজ্যবাদী শক্তির কাছে নত হবে না।

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো

নির্বাচনি কারচুপির অভিযোগ আর অর্থনৈতিক সংকটের বিরুদ্ধে এ বছরের শুরুতে ভেনেজুয়েলায় বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভের সুযোগে ২৩ জানুয়ারি নিজেকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুইদো। প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারকে অবৈধ দাবি করে নিজেকে বৈধ অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রসহ ৫০টিরও বেশি দেশ তাকে স্বীকৃতি দিলেও প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো সরকার অভিযোগ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন গুইদো।

মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তায় আকস্মিক অভ্যুত্থানের ঘোষণা দেন গুইদো। ভিডিওতে তার সঙ্গে বেশ কয়েকজন সামরিক সদস্যকেও দেখা যায়। ইতোমধ্যে এই অভ্যূত্থানে সমর্থন ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

তবে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে মাদুরো বলেন, সরকার জয়ীবেশেই থাকবে এবং তার দল ‘লৌহশক্তির’ ন্যায় দেশকে সুরক্ষা দিয়ে যাবে।

মাদুরো বলেন, স্থানীয় সময় সকাল সোয়া ৪টায় বিদ্রোহ ‍শুরু হয়। এর নেতৃত্ব দেন লিওপোলদো লোপেজ। তার দাবি, সরকার সর্বোচ্চ সক্ষমতা দিয়ে এই বিদ্রোহ প্রতিহত করেছে।’

এর আগেও সেনাবাহিনী তার সঙ্গেই আছে বলে দাবি করেছিলেন প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। এক টুইটে তিনি দাবি করেন, সেনা সদস্যরা তাকে আশ্বস্ত করেছেন যে তারা জনগণ, সংবিধান ও জন্মভূমির সঙ্গেই আছেন। দিনভর ভেনেজুয়েলার রাস্তায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সহিংসতায় জড়িয়েছে মাদুরোর অনুগত আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।

প্রসঙ্গত, অতীতেও ভেনেজুয়েলায় অভ্যুত্থান প্রচেষ্টায় সমর্থন দিয়ে ব্যর্থ হওয়ার নজির রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। ২০০২ সালে প্রেসিডেন্ট হুগো চ্যাভেজ এর বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা চালায় মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করা এক ব্যবসায়ী। তাৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের প্রশাসন নতুন সরকারকে স্বীকৃতিও দিয়ে ফেলে। তবে অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা নস্যাৎ হয়ে গেলে ওই স্বীকৃতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।