অবরোধ সত্ত্বেও কাতারের আমিরকে বাহরাইনের প্রধানমন্ত্রীর ফোন

পবিত্র রমজান মাসের শুরু উপলক্ষে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানিকে ফোন করেছেন বাহরাইনের প্রধানমন্ত্রী যুবরাজ খলিফা বিন সালমান আল খলিফা। ২০১৭ সালের জুন থেকে দোহার সঙ্গে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নকারী চারটি দেশের মধ্যে বাহরাইন একটি। মঙ্গলবার সকালে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কাতারের আমিরকে প্রধানমন্ত্রীর ফোন করার খবর প্রকাশ করে। খবরে বলা হয়, রমজানের শুভেচ্ছা বিনিময়ে সীমাবদ্ধ ছিল এই ফোনকল। তবে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, অবরোধ আরোপকারী কোনও দেশের তরফ থেকে কাতারের আমিরকে এধরণের ফোনালাপের ঘটনা বিরল।বাহরাইনের প্রধানমন্ত্রী ও যুবরাজ খলিফা বিন সালমান আল খলিফা

সন্ত্রাসবাদে সহযোগিতার অভিযোগ এনে ১৩ টি শর্ত দিয়ে ২০১৭ সালের ৫ জুন কাতারের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দেয় সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিসর। কাতার এই অভিযোগ অস্বীকার করে শর্ত মানতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে। দোহার দাবি চলমান এই নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। সৌদি আরবের নেতৃত্বে নেওয়া এই পদক্ষেপের কারণে শুরুতে সংকটে পড়লেও পরে তা কাটিয়ে উঠতে থাকে কাতার। যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দুই মিত্র কাতার ও সৌদি আরবের বিরোধ নিস্পত্তির আহ্বান জানালেও তাতে কোনও ফল আসেনি।

এর মধ্যে মঙ্গলবার সকালে কাতারের আমিরকে প্রধানমন্ত্রীর ফোন করার খবর প্রকাশ করে বাহরাইনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা। দুই দেশের শীর্ষ ব্যক্তিদের এই ফোনালাপ রমজানের শুভেচ্ছা বিনিময়ে সীমাবদ্ধ ছিল বলে উল্লেখ করা হয় ওই খবরে। বাহরাইনের মন্ত্রিপরিষদ বিষয়কমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন ইব্রাহিম আল মুতওয়া বলেছেন, এই ফোনালাপ বাহরাইনের রাষ্ট্রীয় অবস্থানের প্রতিনিধিত্ব করে না। আর এর মধ্য দিয়ে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিসরের প্রতি বাহরাইনের প্রতিশ্রুতি আক্রান্ত হবে না।

কাতার ও বাহরাইনের দুই শীর্ষ ব্যক্তির ফোনালাপের একদিন আগেই কাতারের একটি নৌজাহাজ ও চার নাবিককে মুক্তি দেয় সংযুক্ত আরব আমিরাত। এক সপ্তাহ আগে ওই জাহাজ ও নাবিকদের আটক করা হয়েছিল। সোমবার কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জাহাজ ও নাবিকদের মুক্তিতে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিয়মিত টহলের সময় জাহাজটি যান্ত্রিক ত্রুটিতে পড়ে আমিরাতের জলসীমায় ঢুকে পড়লে আমিরাতের কর্তৃপক্ষ নাবিকদেরসহ জাহাজটি আটক করে। ব্যবহারযোগ্য সব কূটনৈতিক পথ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় জাহাজ ও নাবিকদের নিরাপদ প্রত্যর্পণের জন্য কাজ চালিয়ে যায় কাতার।