সৌদি আরবের হুমকির বিষয়ে সিআইএ’র সতর্কতা, অ্যাকটিভিস্টকে সরিয়ে নিল নরওয়ে

সৌদি আরবের হুমকির জেরে এক ফিলিস্তিনি অভিবাসীকে নিরাপত্তার আওতায় নিয়েছে নরওয়ে। দেশটির কর্মকর্তারা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র কাছ থেকে সৌদি হুমকির তথ্য পেয়ে তাকে নিরাপেদ সরিয়ে নিয়েছে কর্মকর্তারা। আইয়াদ আল বাগদাদি নামের ওই অ্যাকটিভিস্ট বলেছেন, সৌদি মানবাধিকার প্রজেক্টে তার কাজের সঙ্গে এই হুমকির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। আরেক  তবে সিআইএ, নরওয়ে বা সৌদি কর্তৃপক্ষ এঘটনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত অ্যাকটিভিস্ট আইয়াদ আল বাগদাদি

ফিলিস্তিনি লেখক ও ব্লগার আইয়াদ আল বাগদাদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি করেন। মধ্যপ্রাচ্যের নেতাদের বিষয়ে প্রায়ই কঠোর সমালোচনা করে থাকেন তিনি। জনপ্রিয় ব্লগার আল বাগদাদির টুইটারে অনুসারীর সংখ্যা এক লাখ ২৭ হাজার। ২০১১ সালে আরব বসন্তের সময় জনপ্রিয়তা পান তিনি। সংযুক্ত আরব আমিরাতে বেড়ে ওঠা এই লেখককে ২০১৫ সালে সেখান থেকে বহিষ্কার করা হলে নরওয়েতে রাজনৈতিক আশ্রয় লাভ করেন তিনি। হুমকির খবর প্রকাশ্যে আসার পর টুইটারে তিনি লিখেছেন, তারা যদি আমাকে মেরে ফেলতে না চায়, তাহলে আমি আমার কাজ করছি না।

আল বাগদাদির সমাচলানোর তালিকায় রয়েছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। সালমানের সহযোগিদের বিরুদ্ধে গত বছর তুরস্কের ইস্তানবুল কনস্যুলেটে সৌদি সাংবাদিক ও সমালোচক জামাল খাশোগিকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। খাশোগির সঙ্গে পরিচয় ছিল আল বাগদাদির। তিনি বলেন, গত দুই বছরে আমার কাজের বড় একটি অংশ ছিল সৌদি আরবের মানবাধিকার পরিস্থিতি, বিশেষ করে আমার বন্ধু জামাল খাশোগি হত্যার পরের পরিস্থিতি।

আল বাগদাদি দাবি করেন, গত ২৫ এপ্রিল প্রথমবার তাকে সতর্ক করা হয়। তার বাড়ি এসে নরওয়ের কর্মকর্তারা তাকে বিপদের আশঙ্কার বিষয়ে সতর্ক করে যান। টুইট বার্তায় তিনি বলেন, দীর্ঘ দিন ধরেই আমি সুরক্ষার আওতায় ছিলাম না। দুই তিন ঘণ্টা দূরে থাকার চেয়ে অসলোতে থাকাকেই নিরাপদ বলচে কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে শিগগিরই আমাকে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হবে।