ইরানের দুই মাসের হুঁশিয়ারি প্রত্যাখ্যান ইউরোপের

২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি রক্ষায় ইরানের দেওয়া দুই মাসের হুঁশিয়ারি প্রত্যাখ্যান করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার কারণেই তেহরানের  আচরণে এই পরিবর্তন এসেছে বলেও স্বীকার করেন তারা। ইরানকে দুর্বল করতে মার্কিন প্রচেষ্টাকে খর্ব করতে থাকা ইউরোপীয় নেতারা বলেছেন, তারা এখনও পারমাণবিক চুক্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিশীল। আর তারা এই পর্যায়েও তেহরানের কাছ থেকে চুক্তি ভঙ্গের  কোনও হুমকি আছে বলে মনে করছেন না। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান এই খবর জানিয়েছে।noname

জয়েন্ট কম্প্রিহেন্সিভ অ্যাকশন প্লান (জেসিপিওএ) নামে ইরানের সঙ্গে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করে রাশিয়া, চীন, যুক্তরাষ্ট্র এবং তিনটি ইউরোপীয় দেশ ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও জার্মানি। গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্টে ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৫ সালে ছয় বিশ্ব শক্তির সাথে ইরানের স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বের হয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। ওই ঘোষণার বর্ষপূর্তির দিনে বুধবার ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ওই চুক্তি থেকে আংশিকভাবে ইরানের সরে আসার ঘোষণা দেন। তেহরানে নিযুক্ত ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, রাশিয়া ও চীনের রাষ্ট্রদূতদের রুহানির স্বাক্ষরিত চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলোকে চুক্তি রক্ষায়  ৬০ দিন সময় বেধে দেন তিনি।

ইরানের এই পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বলেছে, আমরা যেকোনও আলটিমেটাম প্রত্যাখান করছি। আর পারমাণবিক চুক্তি ইরান কতোটা মেনে চলছে তা পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে জানানো হয় ওই বিবৃতিতে।

ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের নিন্দা জানিয়ে ইইউ-এর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনও চুক্তির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কবল থেকে ইরানের জনগণকে রক্ষাতেও তারা সচেষ্ট বলে জানানো হয়।

রোমানিয়ার শহর সিবিউতে ইউরোপীয় নেতাদের এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাঁক্রন সব পক্ষকে ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ইউরোপকে অবশ্যই ইরানকে আশ্বস্ত করতে কাজ করতে হবে। ম্যাঁক্রন বলেন, আমাদের অবশ্যই তাড়াহুড়া করা চলবে না বা উত্তেজনার মধ্যে পড়া যাবে না। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, চুক্তি ভেঙে গেলে আমাদের সব অর্জন নষ্ট হয়ে যাবে। সেকারণে ফ্রান্স চুক্তিতে থাকছে আর থাকবে আর আমি দৃঢ়ভাবে আশা করি ইরানও চুক্তিতে থাকবে।