ছাড়া পেলেন ব্র্যাডলি ম্যানিং

যুক্তরাষ্ট্রের গোপন নথি ফাঁস করা সাবেক মার্কিন গোয়েন্দা বিশ্লেষক ব্র্যাডলি ম্যানিং (বতর্মানে চেলসি ম্যানিং) ছাড়া পেয়েছেন। উইকিলিকস বিষয়ক এক তদন্তে জবানবন্দি দিতে অস্বীকৃতি জানালেও তাকে মুক্তি দেয় পুলিশ। 

b882832557906a0e4debb89db2c85ce6-5b72c3d103950

ইরাকে গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করার সময় উইকিলিকসের কাছে কয়েক লাখ মার্কিন সামরিক গোপন নথি ফাঁস করে দেন তখনকার ব্রাডলি ম্যানিং। ২০১৩ সালে তার বিরুদ্ধে সাত লাখ নথি ফাঁসের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হলে হরমোন থেরাপির পর চেলসি ম্যানিং নামে নারী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। বিচারে তাকে ৩৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। গত বছরের মে মাসে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নির্বাহী আদেশে মুক্তি পান তিনি। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারের স্বচ্ছতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও তৃতীয় লিঙ্গের সমতা নিয়ে সরব ছিলেন ম্যানিং।

চলতি বছর মার্চে ম্যানিংকে আটক করে পুলিশ। ৬২ দিন পুলিশি  হেফাজতে থাকার পর বৃহস্পতিবার মুক্তি পান তিনি। তবে ১৬  মে গ্র্যান্ডজুরির সামনে তাকে আবারও উপস্থিত হতে হবে।

উইকিলিকস নিয়ে নতুন করে বক্তব্য দিতে নারাজ ম্যানিং। তার দাবি, ২০১৩ সালেই তিনি যা বরার ছিলো বলে দিয়েছেন।  বৃহস্পতিবার মুক্তির পর তার আইনজীবী বলেন, ‘আজ গ্র্যান্ডজুরির সময় বাড়ানো হয়েছ্ তাই ৬২ দিন আটক থাকার পর ম্যানিংকে আলেক্সান্দ্রিয়া আটককেন্দ্র থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘তবে তার মুক্তির আগেই আরেকটি সমন জারি করা হয়েছে। ফলে তাকে আরও একবার আদালতে উপস্থিত হতে হবে। তবে ম্যানিং নতুন করে কোনও জবাব দেবেন না এবং সবরকম আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন।

গত মার্চে শুনানিতে অংশ নিতে রাজি না হলে তাকে আটকের নির্দেশ দেওয়া হয়। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তাকে বাড়িতে রাখার আবেদন করা হলেও আদালত জানায়, মার্কিন পুলিশ তার খেয়াল রাখতে সক্ষম।