উত্তরাখণ্ডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ধ্যান ও পরিদর্শন যেভাবে টেলিভিশনে প্রচারিত হচ্ছে তাতে নির্বাচনি আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘিত হয়েছে বলে মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস। কমিশনকে এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে তারা।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন দল আজ নির্বাচন কমিশনকে একটি চিঠিতে জানিয়েছে, ‘...২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের শেষ পর্যায়ের জন্য নির্বাচনি প্রচারাভিযান ১৭ মে, সন্ধ্যা ৬ টায় শেষ হয়ে গেছে। আশ্চর্যজনকভাবে শ্রী নরেন্দ্র মোদির কেদারনাথ যাত্রাটি সব জাতীয় ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে এবং গত দুইদিন ব্যাপকভাবে টেলিভিশনে প্রচারিত হচ্ছে। এটি আদর্শ আচরণবিধির একটি গুরুতর লঙ্ঘন।’ তৃণমূলের সংসদ সদস্য ডেরেক ও'ব্রায়ানের স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে তিনি বলেন, ‘কেদারনাথ মন্দিরের মাস্টার প্ল্যান যে প্রস্তুত তা তিনি ঘোষণা করেছিলেন এবং কেদারনাথে তিনি গণমাধ্যমকেও সম্বোধন করেছেন। এটা একেবারে অনৈতিক ও ভুল।’
উত্তরাখণ্ডের বিজেপির টুইটারে পোস্টকৃত ভাইরাল ছবিতে দেখা যায়, ৬৮ বছর বয়সে প্রধানমন্ত্রী মোদি পিঠে একটা বালিশ দিয়ে, বিছানায় বসে ধ্যান করছেন। পরনে গেরুয়া বস্ত্র। আরেকটি ছবিতে প্রধানমন্ত্রীকে হাত জড়ো করে গুহায় প্রবেশ করতে দেখা যায়।
তৃণমূল চিঠিতে জানিয়েছে, ‘সফরকালে তার কার্যক্রমের প্রতিটি মিনিট বিস্তারিত ও ব্যাপকভাবে প্রচারিত হচ্ছে, ভোটারদের সরাসরি অথবা পরোক্ষভাবে প্রভাবিত করার একটি ভয়ানক উদ্দেশ্য নিয়েই তা করা হচ্ছে। মোদি মোদি স্লোগানও পিছন থেকে শোনা যাচ্ছে। এই সব পদক্ষেপগুলি একেবারে পরিকল্পিত এবং খারাপ উদ্দেশ্য নিয়েই করা হচ্ছে। এমনকি নির্বাচনের দিনেও ভোটারদের প্রভাবিত করা হচ্ছে। এটা খুবই দুঃখজনক যে নির্বাচন কমিশন, এই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সর্বোচ্চ সংস্থা চোখ ও কান বন্ধ করে বিধি লঙ্ঘনের অনুমতি দিচ্ছে।’
নির্বাচন কমিশনের তরফেই আচরণবিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগ তুলে বিরোধী দল আক্রমণ শানিয়েছে। ২১ এপ্রিল গুজরাটের একটি বক্তৃতা সহ প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচার অংশে কোনও বিধি লঙ্ঘনের আলামত পায়নি কমিশন।