যুদ্ধের অর্থ হবে ইরানের পতন: ট্রাম্প

ইরানের প্রতি কঠোর সতর্কতা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে ইরান ধ্বংস হয়ে যাবে বলে এক টুইট বার্তায় সতর্ক করেন তিনি। উপসাগরীয় এলাকায় মার্কিন যুদ্ধ সরঞ্জাম মোতায়েনের পর ইরানের সংঘাত এড়ানোর ইঙ্গিত দেওয়ার পর আবারও দেশটির প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেন ট্রাম্প।noname

২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে ছয় বিশ্বশক্তির স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি থেকে গত বছর যুক্তরাষ্ট্র বের হয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল শুরু করে ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণার বর্ষপূর্তির দিনে চুক্তি থেকে আংশিক সরে যাওয়ার কথা জানিয়ে দেয় তেহরান। এরপর ইরানের ওপর ক্রমবর্ধমান চাপ বৃদ্ধির অংশ হিসেবে গত সপ্তাহে উগসাগরীয় এলাকায় বিমানবাহী রণতরী ও ক্ষেপণাস্ত্রসহ যুদ্ধ সরঞ্জাম মোতায়েন করে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের হুমকি মোকাবিলায় ওয়াশিংটন এই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বললেও তেহরান যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ’ শুরুর অভিযোগ এনেছে।

দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সাথে যুদ্ধ চায় কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে বৃহস্পতিবার ট্রাম্প বলেন, আশা করি না। ইরানের এক আইন প্রণেতাও দুই দেশের উত্তেজনা নিরসনে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান।

এরমধ্যে রবিবার টুইট বার্তায় ট্রাম্প লেখেন, ‘ইরান যদি যুদ্ধ চায় তাহলে তা হবে দেশটির আনুষ্ঠানিক পতন। যুক্তরাষ্ট্রকে আর কোনও হুমকি দিও না’।

সম্প্রতি উপসাগরীয় এলাকায় বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস আব্রাহাম লিংকন মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই অঞ্চলে ১ লাখ ২০ হাজার মার্কিন সেনা পাঠানোর পরিকল্পনার কথাও সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে। কূটনৈতিক কর্মকর্তাদের ইরাক ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই অঞ্চলে ইরান সমর্থিত বাহিনীর কাছ থেকে হুমকি বাড়ার কথা জানিয়েছে মার্কিন সেনাবাহিনী। নেদারল্যান্ড ও জার্মান সেনারা জানিয়েছেন, ইরাকে তাদের সামরিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে।

এছাড়া শুক্রবার সৌদি আরবের একটি তেল সরবরাহের পাইপলাইনে ইরানের বিরুদ্ধে ড্রোন হামলার অভিযোগ এনেছে রিয়াদ। ইরানের নির্দেশে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে সৌদি আরব। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইরান।