বুথফেরত জরিপের ফলাফলে বিরোধীদের মহাঐক্যের প্রচেষ্টায় হোঁচট?

বিজেপি বিরোধী মহাজোট গঠন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সোমবারের পূর্বনির্ধারিত বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন না বহুজন সমাজবাদী পার্টির প্রধান মায়াবতী। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ এইটিন দলীয় সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে। তারা ইঙ্গিত দিয়েছে, বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটের বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে মহাঐক্যের যে প্রচেষ্টা চলছিল, বুথফেরত জরিপে ক্ষমতাসীনদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার আভাস মেলায় তা বাধার মুখে পড়েছে।noname

বিজেপিবিরোধী মহাজোট সরকার গঠনের লক্ষ্য নিয়ে তৎপর ছিল বিরোধীরা। শেষ দফার ভোটগ্রহণের আগেই কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তেলেগু দেশম পার্টির (টিডিপি) প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু,  বিজেপিবিরোধী জোট গঠনকে সর্বাগ্রে স্থান দেওয়ার কথা জানান। ঐক্য প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে নির্বাচনি ফল ঘোষণার (২৩ মে) ২ দিন আগে ২১ মে বিরোধী দলগুলোর বৈঠকের দিন নির্ধারণ করা হয়। তবে রবিবার শেষ ধাপের নির্বাচনের পর প্রকাশিত বুথ ফেরত জরিপে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আবারও বিজয়ী হওয়ার আভাস মিলেছে।

জরিপের ফল প্রকাশের একদিনের মাথায় বহুজন সমাজ পার্টি নিশ্চিত করলো, ২১ তারিখের ওই বৈঠকে মায়াবতী অংশ নিচ্ছেন না। এর আগে ইউপিএ জোট নেতা সোনিয়া গান্ধী ও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সাথে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতীর বৈঠকের কথা জানা গিয়েছিল। তবে সোমবার বহুজন সমাজবাদী পার্টির নেতা সতিশ চন্দ্র মিশ্র বার্তা সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, ‘আজ মায়াবতীর দিল্লিতে কোনও কর্মসূচি বা বৈঠক নেই। তিনি লক্ষ্নৌতে থাকবেন’।

বিরোধীদের কৌশলগত জোট গঠন প্রক্রিয়ায় অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও তেলেগু দেশম পার্টির নেতা চন্দ্রবাবু নাইডুর তৎপরতা বেশি হলেও জোটের মশাল রয়েছে ইউপিএ-নেতা সোনিয়া গান্ধীর হাতে। নিউজ ১৮ এর খবরে বলা হয়, নির্বাচনের ফল ঘোষণার আগে-পরে তিনি সম্ভাব্য শরিকদের সাথে আলোচনা করবেন।

নাইডু শনিবার রাহুল গান্ধী, মায়াবতী ও তার জোটসঙ্গী সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বিরোধীদের সাথে জোট গঠনে আগ্রহ প্রকাশ করলেও নিজের প্রধানমন্ত্রী পদের ব্যাপারে খোলাখুলি ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন মায়াবতী। তাতে তিনি সমর্থন পেয়েছেন জোটসঙ্গী অখিলেশ যাদব-এর। ওদিকে বিজেপি বিরোধী জোট সরকার গঠনের স্বার্থে প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রিত্ব প্রশ্নে ছাড় দেওয়ার কথা আগেই জানিয়ে রেখেছে কংগ্রেস।