পাকিস্তানকে অবশ্যই সন্ত্রাস থামাতে হবে: চীনের প্রেসিডেন্টকে মোদি

পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা পুনরায় শুরুর আগে পাকিস্তানকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দিয়েছে ভারত। বৃহস্পতিবার কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একথা জানান। সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনের এক পার্শ্ববৈঠকে মিলিত হন দুই নেতা। সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, এসসিও সম্মেলনের আগে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার তাগিদ দিয়ে ভারতকে চিঠি পাঠায় পাকিস্তান। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পুলওয়ামায় হামলার পর দিল্লি মনে করে আলোচনা এবং সন্ত্রাস পাশাপাশি চলতে পারে না।কিরিগজস্তানের রাজধানীতে চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেন নরেন্দ্র মোদি

গত ফেব্রুয়ারিতে কাশ্মিরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে ভারতের সেন্ট্রাল রিজার্ভ ফোর্সের অন্তত ৪০ সদস্যকে হত্যার দায় স্বীকার করে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই মোহাম্মদ। ওই হামলার জেরে পাকিস্তানের বালাকোটে বিমান হামলা চালিয়ে জইশ-ই মোহাম্মদের ঘাঁটি ধ্বংসের দাবি করে ভারত। এর ধারাবাহিকতায় দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশির সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয়।

দুই প্রতিবেশির উত্তেজনার মধ্যে কিরিগজস্তানের রাজধানীতে এসসিও সম্মেলনে জড়ো হয়েছেন আঞ্চলিক দেশগুলোর সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানেরা। ওই সম্মেলনের পার্শ্ববৈঠকে শি জিনপিং এর সঙ্গে  দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।  দিল্লির পররাষ্ট্র সচিব বিজয় গোখলে’র বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বৈঠকে মোদি বলেছেন ইসলামাবাদের সঙ্গে আলোচনা পুনরায় শুরু করার আগে ‘পাকিস্তানের প্রয়োজন সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা, কিন্তু এই পর্যায়ে আমরা তা ঘটতে দেখছি না। আশা করি ইসলামাবাদ সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেবে’।

পাকিস্তানের কৌশলগত মিত্র চীন। দেশটির অবকাঠামো খাতেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিনিয়োগ করছে বেইজিং। এসসিও সম্মেলনের পার্শ্ববৈঠকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গেও শি জিনপিং বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

ভারতের সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, এসসিও সম্মেলন সামনে রেখে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা পুনরায় শুরুর তাগিদ দিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরাইশি। গত বছরের নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠনের পরেও কাশ্মিরসহ সব ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে আলোচনা শুরুর আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন ইমরান খান।