ট্যাংকারে হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের যোগসাজশ থাকতে পারে: ইরান

ওমান সাগরে দুই তেল ট্যাংকারে হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের যোগসাজশ থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ইরান। রবিবার ইরানের পার্লামেন্টে এমন আশঙ্কার কথা জানান দেশটির স্পিকার আলী লারিজানি। তিনি বলেন, ট্যাংকারে নাশকতার সঙ্গে আমেরিকা জড়িত থাকতে পারে। এর মাধ্যমে হয়তো তারা ইরানের ওপর চাপ আরো বাড়াতে চায়।

আলী লারিজানি বলেন, হামলা চালিয়ে অন্যের ওপর দোষ চাপানোর অতীত রেকর্ড যুক্তরাষ্ট্রের রয়েছে। বিশ্বযুদ্ধের সময় আমেরিকা জাপানের কাছাকাছি এলাকায় নিজেদের জাহাজগুলোতে হামলা চালিয়ে এর দায় জাপানের ওপর চাপিয়ে দিয়েছিল, যাতে জাপানের সঙ্গে তাদের শত্রুতাকে যৌক্তিক হিসেবে তুলে ধরা যায়।

তিনি বলেন, ওমান সাগরে বৃহস্পতিবারের ঘটনাও এ ধরনেরই একটি মার্কিন তৎপরতা হতে পারে। এ কাজ করা হতে পারে ইরানের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার পরিপূরক হিসেবে। কারণ আমেরিকা অর্থনেতিক নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে কিছু করতে পারেনি।

আলী লারিজানি বলেন, আমেরিকা এখন একটি বেহায়া রাজনৈতিক চক্রের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে যারা আগ-পিছ হিসাব না করে কথা বলেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও'র সাম্প্রতিক এক বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারা একদিকে কূটনৈতিক পন্থার কথা বলছে অন্যদিকে ইরানের বিরুদ্ধে তাদের ভাষায় সবচেয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এটা কি কূটনৈতিক পদক্ষেপ?

উল্লেখ্য, ১৩ জুন সকালে ওমান উপসাগরে দুটি তেলবাহী ট্যাংকারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। ট্যাংকার দুটির একটি মার্শাল আইল্যান্ডের পতাকাবাহী ফ্রন্ট অ্যালটেয়ার এবং অপরটি পানামার পতাকাবাহী কোকুকা কারেজিয়াস। ফ্রন্ট অ্যালটেয়ার নরওয়ের মালিকানাধীন আর কোকুকা জাপানের মালিকানাধীন। বিস্ফোরণের পর দুই ট্যাংকার থেকে ৪৪ জন ক্রুকে উদ্ধার করে ইরানি কর্তৃপক্ষ। বিস্ফোরণের সুনির্দিষ্ট কারণ জানা না গেলেও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও সৌদি আরব এর জন্য ইরানকে দায়ী করছে। সূত্র: পার্স টুডে, রয়টার্স।