অবশেষে সংলাপে সম্মত ভেনেজুয়েলার বিরোধীরা

নরওয়ের মধ্যস্ততায় প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় রাজি হওয়ার কথা জানিয়েছে ভেনেজুয়েলার বিরোধীরা। নরওয়ে সরকারের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই সপ্তাহেই আলোচনা শুরু হতে পারে। দেশটির স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট ও বিরোধীদলীয় নেতা জুয়ান গুইদো বলেছেন, যে কোনও আলোচনা অবশ্যই চলমান রাজনৈতিক সংকটের টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে হতে হবে আর তা মাদুরোর সময় ক্ষেপণের চেষ্টা হতে দেওয়া হবে না।ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো

২০১৫ সাল থেকে খাবার  ও চিকিৎসার অভাবে সৃষ্ট মানবিক সংকট থেকে বাঁচতে ৪০ লাখ নাগরিক ভেনেজুয়েলা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। নির্বাচনি কারচুপির অভিযোগ আর অর্থনৈতিক সংকটের বিরুদ্ধে এ বছরের শুরুতে ভেনেজুয়েলায় বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভের সুযোগে ২৩ জানুয়ারি নিজেকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুইদো। মাদুরোর সরকারকে অবৈধ দাবি করে নিজেকে বৈধ অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে অভ্যুত্থানের ডাক দেন তিনি। এতে সমর্থন ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। পরে কথিত ওই অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা নস্যাতের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো।  

ভেনেজুয়েলার রাজনৈতিক সংকট সমাধানে গত মে মাসে আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই সময়ে মে মাসে অসলো’তে আলোচনায় সম্মত হয় গুইদোর সমর্থকরা। তবে একে সময় ক্ষেপণের প্রচেষ্টা বলে অভিযোগ তোলেন গুইদো। জুনে নিজস্ব সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, আরেক দফা আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছে দুই পক্ষ।

রবিবার ভেনেজুয়েলার তথ্যমন্ত্রী নরওয়ে সরকারের বিবৃতি টুইটারে পোস্ট করে আলোচনা শুরুর কথা জানান। তবে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের কাছে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে ভেনেজুয়েলার তথ্যমন্ত্রণালয়।

এক বিবৃতিতে স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট জুয়ান গুইদো বলেন, ‘ভেনেজুয়েলার জনগণ, আমাদের মিত্র এবং বিশ্বের গণতান্ত্রিক শক্তি আমাদের অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এই নির্বাচন আমাদের সংকট উত্তরণ ও ফলপ্রসু ভবিষ্যত নির্মাণের পথ সুগম করবে’।