এবার যুক্তরাষ্ট্রকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি চীনের

তাইওয়ানকে অস্ত্র সরবরাহের ঘটনায় ক্ষুব্ধ চীন যুক্তরাষ্ট্রকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছে। সোমবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা দিয়েছে, তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রিতে সংশ্লিষ্ট মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে চীনা ব্যবসায়ীরা সম্পর্ক ছিন্ন করবে। নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে এখনও বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।  তবে চলমান বাণিজ্য-যুদ্ধের মধ্যে এমন সিদ্ধান্তের কারণে চীন-মার্কিন ভঙ্গুর কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও খারাপ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

15499115145c61c5dae701a8.48537108

চীনের দক্ষিণপূর্ব উপকূলীয় এলাকা বেইজিং-এর জন্য অত্যন্ত স্পর্শকাতর। কেননা এ উপকূলেই তাইওয়ান প্রণালীর অবস্থান। এ প্রণালীর এক পাশে তাইওয়ান আর অন্য পাশে চীনের দক্ষিণপূর্ব উপকূল। ফলে অঞ্চলটি চীনের সবচেয়ে সংবেদনশীল এলাকাগুলোর একটি। তাইওয়ানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন এবং দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের সামরিক উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যকার তিক্ততা ক্রমাগত বাড়ছে। সম্প্রতি বাণিজ্যযুদ্ধ এতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

তাইওয়ানকে নিজেদেরে স্বশাসিত অঞ্চল দাবি করে চীন। প্রায়ই একে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের সবচেয়ে স্পর্শকাতর দিক বলে মন্তব্য করে তারা।

গত সপ্তাহে পেন্টাগন জানিয়েছিলো, তাইওয়ানের অনুরোধের প্রেক্ষিতে অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে তারা। এর মধ্যে এমওয়ানএটুটি আব্রামস ট্যাংক ও ২৫০টি ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। যার মূল্য ২২৯ কোটি ডলার।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গেং শুয়াং দাবি করেছেন, এই অস্ত্র বিক্রি আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং চীনের সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তার জন্য হুমকি। তিনি বলেন, তাইওয়ানকে অস্ত্র দেওয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে চীনা সরকার ও কোম্পানিগুলো সম্পর্ক রাখবে না।

গে শুয়াং বলেন, ‘আমি এখনই বিস্তারিত বলতে পারছি না। তবে বিশ্বাস রাখুন, চীনা জনগণ সবসময় তাদের কথা রাখে।’

রবিবার চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি পরিচালিত সংবাদমাধ্যম পিপলস ডেইলি উইচ্যাটে একটি আর্টিকেলে ওই মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলার নাম প্রকাশ করেছে যাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।

এরমধ্যে আব্রাম ট্যাংক নির্মাণকারী হানিওয়েল ইন্টারন্যাশনাল  ও জেট নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান গাল্ফস্ট্রিম অ্যারোস্পেসও রয়েছে। দুটি প্রতিষ্ঠানের জন্যই চীন অনেক গুরুত্বপূর্ণ বাজার। তবে চীনের হুমকির প্রেক্ষিতে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি প্রতিষ্ঠান দুটি।