ট্রাম্প-জনসনের অধীনে কেমন হবে ইঙ্গ-মার্কিন সম্পর্ক?

ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে বলে মন্তব্য করেছেন লন্ডনে নিযুক্ত ওয়াশিংটনের দূত উডি জনসন। দুই জনের নেতৃত্ব দেওয়ার ধরণে অনেক সামঞ্জস্য রয়েছে জানিয়েছে রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন এর মধ্য দিয়ে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য বাস্তবায়িত হবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে তিনি বলেন, চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের ক্ষেত্রে বাধা হবে না।noname

ব্রেক্সিট সমর্থক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র সমালোচক ছিলেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে থেরেসার দরকষাকষির সমালোচনা করেছেন তিনি। বরিস জনসনের প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হওয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন ট্রাম্প। আশা প্রকাশ করেছেন, তিনি ভালো কাজ করতে পারবেন।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত উডি জনসন বলেন, আমরা যদি আশাবাদী হয়ে যদি আমাদের দুই দেশের দিকে তাকাই তাহলে দেখবো এই দেশের সব মানুষের স্বাধীনতার উন্নয়নে আমরা কাজ করছি। আমরা কাজ করছি গণভোটে আপনারা যা বাস্তবায়নের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। আমার মনে হয় প্রেসিডেন্ট এবং আপনাদের নতুন প্রধানমন্ত্রী সেটাই করতে চান।

২০১৫ সালে বরিস জনসন লন্ডনের মেয়র থাকাকালীন তাকে উদ্দেশ্য করে ট্রাম্পের সমালোচনার প্রসঙ্গ আসলেও উডি জনসন বলেন, এসব মন্তব্যের কারণে দুই নেতার সম্পর্কে কোনও প্রভাব ফেলবে না।  তিনি আরও বলেন, আপনাদের নতুন প্রধানমন্ত্রী ও আমাদের প্রেসিডেন্টের মধ্যে সম্পর্ক আকর্ষণীয় হতে যাচ্ছে। তাদের নেতৃত্বের মধ্যে প্রচুর মিল রয়েছে। দুজনেরই নিজস্ব ধরণ রয়েছে তবে সামঞ্জস্যও রয়েছে- যা করতে চান তা নিয়ে তাদের স্পষ্ট দূরদৃষ্টি রয়েছে।

ব্রেক্সিট একবার বাস্তবায়ন হয়ে গেলে যুক্তরাজ্য বাণিজ্য চুক্তির প্রথম সারিতে থাকবে বলেও জানান এই দূত।