লিবিয়ায় গাড়িবোমা হামলায় ২ জাতিসংঘ কর্মী নিহত

লিবিয়ার বেনগাজিতে গাড়ি বোমা হামলায় জাতিসংঘের দুজন কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। স্বাস্থ্য সূত্রের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। শনিবার এই হামলা চালানো হয়। জাতিসংঘ দেশটিতে চলমান গৃহযুদ্ধ নিরসনে শান্তিচুক্তিতে মধ্যস্থতার চেষ্টা করছে।

820191018292446550504

জীবনযাপনের মানের দিকে থেকে তেল-সমৃদ্ধ লিবিয়া একসময় আফ্রিকার শীর্ষে ছিল। স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা ছিল পুরোপুরি রাষ্ট্রের দায়িত্ব। তবে যে রাজনৈতিক এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা ঐ ঐশ্বর্য নিশ্চিত করেছিল, সেটি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায় ২০১১ সালে যখন পশ্চিমা সমর্থিত বিদ্রোহীদের হাতে কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতন হয়। তারপর থেকে লিবিয়ায় চলছে সীমাহীন সংঘাত। গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত ও হত্যার শিকার হওয়ার পর ত্রিপোলিতে জাতিসংঘ সমর্থিত একটি মনোনীত সরকার রয়েছে। ওই কর্তৃপক্ষকে জাতীয় ঐকমত্যের সরকার বা জিএনএ নামে অভিহিত করা হয়। তবে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর হাতে রয়ে গেছে। পশ্চিমাঞ্চলে জিনএনএ’র কর্তৃত্ব থাকলেও পূর্ব ও দক্ষিণের বেশিরভাগ অঞ্চল হাফতার বাহিনী এলএনএ’র দখলে। গত এপ্রিল থেকে এ বাহিনী লিবিয়ায় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।

শনিবার একটি ব্যাংক ও শপিং মলের সামনে এই ঘটনা ঘটে। হামলার সময়ই গাড়িতে পুরে মারা যান জাতিসংঘের এক কর্মী। রয়টার্সের এক প্রতিবেদক জানান, বেনগাজি হাসপাতালে থাকা ওই দুই মরদেহের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে তারা লিবিয়ায় জাতিসংঘ মিশনের সদস্য। হাসপাতালের কয়েকজন কর্মী জানান, তাদের মধ্যে একজন বিদেশি নাগরিক।

হামলার সময়ই ইদুল আজহাকে সামনে রেখে সামরিক অভিযান স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন এলএনএ কমান্ডার খলিফা হাফতার। মঙ্গলবার পর্যন্ত কার্যকর থাকবে এই ঘোষণা।

লিবিয়ায় জাতিসংঘ মিশনের মুখপাত্র জিন এল আলম বলেন, তারা তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়ায় রয়েছেন।