চীনকে ‘চোর’ বললেন ট্রাম্প, মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিকল্প খোঁজার পরামর্শ

চীনকে ‘চোর’ হিসেবে আখ্যায়িত করে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেশটির বিকল্প খোঁজার পরামর্শ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার টুইটারে দেওয়া পোস্টে এমন আহ্বান জানান তিনি।noname
ট্রাম্প বলেন, বহু বছর ধরে চীন আমাদের ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলারের ক্ষতি করছে। তারা বছরে আমাদের কয়েকশ বিলিয়ন ডলারের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ চুরি করেছে। তারা এ কাজ অব্যাহত রাখতে চায়। কিন্তু আমি এটা হতে দিতে পারি না। চীনকে আমাদের প্রয়োজন নেই। সত্যি বলতে তাদের ছাড়াই আমরা অনেক ভালো থাকতে পারি। বছরের পর বছর ধরে, যুগের পর যুগ ধরে তারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন ও চুরি করেছে। তাদের অবশ্যই এটা বন্ধ করতে হবে। আমাদের মহান আমেরিকান কোম্পানিগুলোকে তাৎক্ষণিকভাবে চীনের বিকল্প খোঁজার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে আপনাদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেশে নিয়ে আসা এবং পণ্যসামগ্রী যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদনের বিষয়টিও রয়েছে।

এর আগে শুক্রবার মার্কিন পণ্যে ৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয় চীন। একইসঙ্গে মার্কিন গাড়ি আমদানিতে শুল্ক পুনরায় আরোপের কথাও জানায় দেশটি। চীনা পণ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুল্ক আরোপের পর এই পাল্টা ব্যবস্থা নেয় বেইজিং। এরপরই টুইটারে দেওয়া পোস্টে চীনকে ‘চোর’ হিসেবে আখ্যায়িত করে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিকল্প খোঁজার পরামর্শ দেন ট্রাম্প।

২০১৯ সালের আগস্টের গোড়ার দিকে চীনা পণ্যে নতুন করে ১০ শতাংশ হারে ৩০ হাজার কোটি ডলারের শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। স্মার্টফোন, পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্যে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে এ শুল্ক কার্যকর হতে যাচ্ছে। গত ১ আগস্ট টুইটারে ট্রাম্প নতুন এ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। ২৫ হাজার কোটি ডলার সমমূল্যের চীনা পণ্যে আগে থেকেই ২৫ শতাংশ শুল্ক জারি আছে। এর প্রেক্ষিতে শুক্রবার এক বিবৃতিতে চীনের স্টেট কাউন্সিল জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের ফলে পাল্টা ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে বেইজিং।

চীনের সঙ্গে বিপুল বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে গত বছর থেকে বেইজিংয়ের রফতানি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ শুরু করে ট্রাম্প প্রশাসন। ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ আর ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নামের কথিত সংরক্ষণশীল নীতির ঘোষণা দিয়ে ক্ষমতায় আসা ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে বেইজিং-ও মার্কিন পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ শুরু করে। বাণিজ্য নিয়ে উত্তেজনা কমাতে এ বছর ওয়াশিংটন ও বেইজিং কয়েক দফা বৈঠকও করেছে। কিন্তু ট্রাম্পের এ টুইটই বলে দেয়, সেসব বৈঠক আসলে ঠিক কতটা ফলপ্রসূ হয়েছে! সূত্র: টুইটার, আনাদোলু এজেন্সি।