কাশ্মিরে ২ ব্যক্তিকে অপহরণের পর হত্যা করেছে জয়েশ: পুলিশ

কাশ্মিরের পুলওয়ামা জেলার বনাঞ্চল থেকে সোমবার দুই ব্যক্তিকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। যাযাবর গুজ্জার সম্প্রদায়ের এই দুই বাসিন্দাকে অপহরণ ও হত্যার পেছনে পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী জয়েশ-ই মোহাম্মদ জড়িত বলে দাবি করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। ভারতের সংবাদমাধ্যম সিএনএন-নিউজ এইটটিন জানিয়েছে, কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন বাতিলের পর সেখানে প্রথমবারের মতো এ ধরনের ঘটনা ঘটলো।noname

গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের ঘোষণার মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। জম্মু-কাশ্মিরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করতে পার্লামেন্টে পাস হয় জম্মু-কাশ্মির পুনর্বিন্যাস বিল। রাষ্ট্রপতির সম্মতির পর ওই বিলটি আইনে পরিণত হয়েছে। এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে কাশ্মিরজুড়ে মোতায়েন করা হয় বিপুলসংখ্যক অতিরিক্ত সেনা। ইন্টারনেট-মোবাইল পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়। গ্রেফতার করা হয় স্বাধীনতাপন্থী ও ভারতপন্থী রাজনৈতিক নেতাসহ চার হাজার মানুষকে। রাতের বেলায় বাড়ি বাড়ি অভিযান চালিয়ে তরুণদের তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগও রয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে।

সোমবার স্থানীয় সময় সাড়ে সাতটার দিকে কাশ্মিরের পুলওয়ামা জেলার ত্রাল এলাকার একটি বনের অস্থায়ী আশ্রয় থেকে অপহরণ করা হয় রাজৌরি জেলার আবদুল কাদের কোহলি ও শ্রীনগরের মানজুর আহমেদ খোনমোহকে। ওইদিনই উদ্ধারকারী একটি দল কোহলির গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে। আর মঙ্গলবার পাওয়া যায় আহমেদের মরদেহ।

কাশ্মির পুলিশের প্রধান দিলবাগ সিং বলেন, ‘এটা জয়েশ-ই-মোহাম্মদের হাতে গুজ্জার ছেলেদের অপহরণ হওয়ার ঘটনা। ওই ছেলেদের মরদেহ পাওয়া গেছে। আমরা ওই গোষ্ঠীকে নির্মূল করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছি’।

এ বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মিরের পুলওয়ামাতে আরডিএক্স বিস্ফোরক-ভর্তি গাড়ি নিয়ে ভারতের আধাসামরিক বাহিনী সিআরপিএফ’র গাড়িবহরে আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়। এতে বহরের ৭০টি গাড়ির মধ্যে একটি বাস সম্পূর্ণভাবে ভস্মীভূত হয়ে যায়। প্রাণ হারায় বাহিনীর অন্তত ৪৪ সদস্য। হামলার দায় স্বীকার করে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী জয়েশ-ই-মোহাম্মদ।