কাশ্মির উত্তেজনার মধ্যেই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা পাকিস্তানের

কাশ্মির নিয়ে ভারতের সঙ্গে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালালো পাকিস্তান। দেশটির দাবি, বৃহস্পতিবার তারা ১৮০ মাইল দূরপাল্লার একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করেছে। পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর টুইটারে সেই ভিডিও প্রকাশ করা হয়।

image-214953-1567070182

১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর ভারত-পাকিস্তানের তিনটি যুদ্ধের মধ্যে দুটি সংঘটিত হয়েছে কাশ্মির ইস্যুতে। গত ৫ আগস্ট (সোমবার) ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার ও বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয় বিজেপি নেতৃত্বাধীন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এর প্রতিবাদে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস করাসহ ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে বহিষ্কার করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। কাশ্মির সীমান্তে চলছে টানটান উত্তেজনা। একইসঙ্গে সব ধরনের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি স্থগিত ও ভারতের স্বাধীনতা দিবসকে কালো দিবস হিসেবে পালন করেছে পাকিস্তান।

পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনীর জনসংযোগ অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আসিফ গফুর জানান,ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি ও প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গজনভি নামে নতুন ক্ষেপণাস্ত্রটি ২৯০ কিলোমিটার দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম হবে। বেলুচিস্তানের সোনমিয়ানি ফ্লাইট টেস্ট রেঞ্জের ৫৯ কমান্ড পোস্ট থেকে এটি নিক্ষেপ করা হয়।

নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্রটি পরীক্ষার জন্য ২৮ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত করাচি যাওয়ার তিনটি আকাশপথ বন্ধ রাখা হয়েছে। যে স্থানে এই পরীক্ষা চালানো হয়েছে, তার আশপাশের সমুদ্রপথেও সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। জাহাজ চলাচলও বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া নতুন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিষয়ে ভারতকেও ২৬ আগস্ট জানিয়েছে পাকিস্তান। ২০০৫ সালের এক বিশেষ চুক্তি অনুযায়ী, দুই দেশকেই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার তিন দিন আগে অপর দেশকে জানানোর নিয়ম রয়েছে।