আগাম নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

যুক্তরাজ্যে আগাম নির্বাচনের প্রস্তাব দিলেও প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।  বুধবার রাতে হাউজ অব কমন্সে দুই দফা পরাজিত হয়েছেন তিনি। আগাম নির্বাচন নিয়ে তার প্রস্তাবটি দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় খারিজ হয়ে গেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন

ব্রেক্সিট ইস্যুতে সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়ে গত মে মাসে পদত্যাগের ঘোষণা দেন যুক্তরাজ্যের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। তিনি সরে দাঁড়ানোর পর  ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন কট্টর ব্রেক্সিটপন্থী বরিস জনসন। নির্বাচিত হওয়ার পর আগামী ৩১ অক্টোবর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। প্রয়োজনে চুক্তিহীন ব্রেক্সিট বাস্তবায়নেরও ইঙ্গিত দেন তিনি।  মঙ্গলবার জনসন সরকারের ব্রেক্সিটনীতির বিরোধীরা পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব তোলেন। এই প্রস্তাবে যুক্তরাজ্যের স্বার্থ রক্ষায় চুক্তি চূড়ান্ত করতে ব্রেক্সিট আরও পিছিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়। ওই প্রস্তাব পাশ হলে হেরে যান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। ভোটাভুটিতে হেরে যাওয়ার পর বরিস জনসন আগাম নির্বাচনের প্রস্তাব আনার কথা জানান।       

সংসদ সদস্যরা 'নো-ডিল ব্রেক্সিট' বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে চুক্তি ছাড়া বেরিয়ে যাবার বিষয়টি আটকে দিয়ে একটি বিল পাশ করেছেন সংসদে। এই বিলটি এনেছে বিরোধী দলগুলো, তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির একদল বিদ্রোহী এমপি। এই বিল পাস হবার পরে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আগামী ১৫ই অক্টোবর নির্বাচনের প্রস্তাব আনেন। তবে সেই প্রস্তাবেও সাড়া দেননি এমপিরা। ফলে বাতিল হয়ে গেছে আগাম নির্বাচনের সম্ভাবনা।

আইনত, সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হলে দুই-তৃতীয়াংশ এমপিকে এর পক্ষে ভোট দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির পক্ষে একা সংসদে এই সংখ্যা অর্জন করা সম্ভব হবে না। এই দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করা একমাত্র সম্ভব হতো প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির সমর্থন পেলে।