ডোরিয়ানের তাণ্ডবে ভুতুড়ে শহরে পরিণত হয়েছে মার্শ হারবার

প্রলয়ঙ্করীর হারিকেন ডোরিয়ানের তাণ্ডবে ভুতুড়ে শহরে পরিণত হয়েছে বাহামা দ্বীপপুঞ্জের শহর মার্শ হারবার। শহরজুড়ে বিক্ষিপ্ত ধ্বংসাবশেষের পাশাপাশি ময়লা-আবর্জনা ছড়িয়ে রয়েছে। ঝড়ের ধ্বংসাবশেষ সরাতে ভারী সরঞ্জাম নিয়ে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। সরেজমিনে শহরটির বিভিন্ন স্থানের পরিস্থিতি এভাবেই বর্ণনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর একটি দল। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ২ সেপ্টেম্বরের ওই ঝড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ইতোমধ্যেই ৪৩ জনে দাঁড়িয়েছে।noname
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, প্রলয়ঙ্করী এ ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে বাহামা দ্বীপপুঞ্জের ১৩ হাজার ঘরবাড়ি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচাতে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার পর মার্শ হারবারের অনেক জায়গা এখন প্রায় জনমানবশুন্য হয়ে পড়েছে। তবে গত ৪৮ ঘণ্টায় কিছু ব্যক্তিগত নৌকা, চপার ও বিমান স্থানীয় বন্দর ও বিমানবন্দরগুলোতে অবতরণ করেছে। শনিবার মোবাইল ফোন সংযোগও স্বাভাবিক হয়ে এসেছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী দুয়ানে স্যান্ডস জানান, সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৪৩ জন। তবে এখনও অনেকে নিখোঁজ থাকায় শেষ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

জাতিসংঘের ত্রাণ কর্মকর্তারা জানিয়েছে, ডোরিয়ানের তাণ্ডবে গৃহহীন হয়ে পড়া এবং ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত বাহামা ও অ্যাবাকো দ্বীপের ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষের জন্য ত্রাণ সহায়তা প্রয়োজন।

বাহামা’র সাবেক প্রধানমন্ত্রী পেরি ক্রিস্টির এক সহকারীর পোস্ট করা ভিডিওতে আবাকো দ্বীপপুঞ্জের মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতির আলামত মিলেছে। উল্টে যাওয়া গাড়ি, বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়া বাড়ির ছাদ আর উপকূলীয় এলাকায় পানি ছাদের সমান উচ্চতায় উঠতে দেখা গেছে। অনলাইনে পোস্ট করা আরেকটি ভিডিওতে সাহায্যের জন্য মরিয়া আকুতি শোনা গেছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, হারিকেনের তাণ্ডবে পানিতে ডুবে গেছে দ্বীপপুঞ্জের বিভিন্ন এলাকা। উড়ে গেছে বহু ঘরবাড়ি। চার্চ, স্কুলসহ বিভিন্ন ভবনকে জরুরি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।