মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ একাধিক রিপাবলিকান রাজনীতিক ও ডানপন্থি মিডিয়া নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র পদপ্রার্থী জোহরান মামদানিকে ‘কমিউনিস্ট’ বলে অভিহিত করেছে। মামদানি নিজেকে একজন ‘ডেমোক্র্যাটিক সোশ্যালিস্ট’ হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার একটি ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মামদানির নীতি ও অবস্থান আধুনিক কল্যাণমূলক ব্যবস্থার দিকে ঝুঁকে থাকা এক প্রগতিশীল ধারার প্রতিফলন, তিনি কমিউনিস্ট নন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩৩ বছর বয়সী মামদানি নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের কুইন্স জেলা থেকে নির্বাচিত ডেমোক্র্যাটিক সোশ্যালিস্ট অ্যাসেম্বলির সদস্য। চলমান নির্বাচনে প্রাথমিকভাবে এগিয়ে থাকা এই প্রার্থী সস্তা বাস ভাড়া, ভর্তুকিযুক্ত চাইল্ড কেয়ার, সরকারি মালিকানাধীন মুদি দোকান ও করপোরেট কর বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছেন। কিন্তু তিনি কোথাও ব্যক্তিগত মালিকানা বিলুপ্তির কিংবা একদলীয় শাসনব্যবস্থার কথা বলেননি। অথচ এগুলো কমিউনিজমের মূল বৈশিষ্ট্য।
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক অধ্যয়নের অধ্যাপক আনা গ্রিজমালা-বুসে বলেন, মামদানি কমিউনিস্ট নন। তিনি একদলীয় শাসন বা কেন্দ্রীয়ভাবে পরিকল্পিত অর্থনীতির কোনও ধারণাকেই সমর্থন করেন না।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ২৫ জুন ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ মামদানিকে ‘১০০ শতাংশ কমিউনিস্ট পাগল’ বলে আখ্যায়িত করেন। একই ধরনের মন্তব্য করেন প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য এলিস স্টেফানিক, বিশ্লেষক বেন শাপিরো ও পডকাস্ট হোস্ট নিক সোরটার।
বিশ্লেষকদের মতে, মামদানির জনপ্রিয়তা ‘কমিউনিজম’ নয়, বরং নাগরিক জীবনের ব্যয় সহনীয় করার প্রতিশ্রুতির ওপর দাঁড়িয়ে। তার প্রস্তাবিত নীতিগুলো ইউরোপ ও কানাডার মতো অনেক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রেই দীর্ঘদিন ধরে বাস্তবায়িত হয়ে আসছে।
নভেম্বরে মামদানি রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়া এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানো বর্তমান মেয়র এরিক অ্যাডামসের মুখোমুখি হবেন। নিউ ইয়র্কের ইতিহাসে এই নির্বাচনটি হতে পারে আমূল রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির একটি পরীক্ষা।