ট্রাম্পকে পিয়ংইয়ং সফরের আমন্ত্রণ কিমের

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পিয়ংইয়ং সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। গত আগস্টে লেখা এক চিঠিতে এ আমন্ত্রণ জানান তিনি। এটি এক মাসের মধ্যে ট্রাম্পকে পাঠানো কিমের দ্বিতীয় চিঠি। কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি সংবাদমাধ্যম এ খবর দিয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক স্বল্প মাত্রার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার আগেই এ চিঠিটি পাঠানো হয়েছিল। গত আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহে এটি ট্রাম্পের হাতে পৌঁছায়। এতে কিম লিখেছেন, তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে আরেকটি বৈঠকে মিলিত হতে আগ্রহী।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, হোয়াইট হাউস, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিংবা জাতিসংঘে নিযুক্ত উত্তর কোরীয় মিশনের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ মাসের গোড়ার দিকে অবশ্য বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন উত্তর কোরিয়ার উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী চোই সোন হুই। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ প্রকাশিত এক নিবন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পুনরায় আলোচনা শুরুর ব্যাপারে নিজ দেশের আগ্রহের কথা জানান তিনি।

চোই সোন হুই বলেন, দুই পক্ষের সম্মতিতে সেপ্টেম্বরের শেষে যে কোনও সময়ে ও স্থানে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনায় বসতে আগ্রহী পিয়ংইয়ং। তবে আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র পূর্ববর্তী মনোভাব না বদলালে চুক্তির সম্ভাবনা শেষ হয়ে যাবে।

ফেব্রুয়ারিতে হ্যানয়ে ট্রাম্প-কিম বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়াকে সব পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগের কথা বললে পিয়ংইয়ং মার্কিন নেতৃত্বাধীন সব আন্তর্জাতিক অবরোধ তুলে নেওয়ার দাবি করে। দুই পক্ষ পারস্পরিক সম্মতিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ায় ভেস্তে যায় আলোচনা। হ্যানয়ের বৈঠক ব্যর্থ হয়ে যাওয়ার পর গত ৩০ জুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এক বৈঠকে ওয়ার্কিং লেভেলে আলোচনা পুনরায় শুরুর বিষয়ে সম্মত হন উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন। তবে এখনও সেই আলোচনা শুরু হয়নি।

উত্তর কোরিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, ওয়াশিংটনের নতুন মনোভাব প্রয়োজন। অন্যথায় আলোচনা ভেস্তে যাবে। তার ভাষায়, 'আমি বিশ্বাস করতে চাই দুই পক্ষের স্বার্থ রক্ষা করবে এবং আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে এমন গাণিতিক পদ্ধতির ভিত্তিতে বিকল্প কিছু নিয়ে অগ্রসর হবে যুক্তরাষ্ট্র। সূত্র: সিএনএন।