সৌদি আরবে মারা গেছেন তিউনিশিয়ার সাবেক স্বৈরশাসক বেন আলি

আফ্রিকার দেশ তিউনিশিয়ার ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইন এল-আবিদিন বেন আলি মারা গেছেন। দীর্ঘ দিন ধরে সৌদিতে নির্বাসিত ছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। এর আগে তিনি ২৩ বছর তিউনিসিয়া শাসন করেন।479

বেন আলির আইনজীবী মুনির বেন সালহা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সৌদি আরবে অসুস্থ হয়ে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বেন আলি। তিউনিসিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীও তার মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আফ্রিকার ওই দেশে গত সপ্তাহে অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে; ওই নির্বাচনের কয়েকদিন পর মারা গেলেন সাবেক ওই স্বৈরশাসক।

পারিবারিক আইনজীবী মুনির বেন সালহা বলেন, শুক্রবার সৌদি আরবে বেন আলির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হবে। 

উল্লেখ্য, বেন আলি ১৯৮৭ সালের ৭ নভেম্বর সামরিক শাসনের মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। পরে তার স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে ২০১১ সালে ব্যাপক গণ-অভ্যুত্থান শুরু হয়। স্বৈরশাসনে অতিষ্ঠ সাধারণ নাগরিকদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মুখে ওই বছর সৌদি আরবে পালিয়ে যান তিনি। তিউনিশিয়ায় শুরু হওয়া ওই বিপ্লব পরবর্তীতে ‘আরব বসন্ত’ নামে আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শুরু হয়। যা আরব দেশগুলোর ক্ষমতাসীন স্বৈরশাসকদের ভীত নাড়িয়ে দেয়। তখন অনেক স্বৈরাশাসককে বিদায় নিতে হয়।

গত রবিবার তিউনিশিয়ায় অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের ওই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দেশটির বেশ কয়েকটি দলের প্রতিদ্বন্দ্বীরা অংশ নেন। বেন আলির শাসনের যুগে এ ধরনের নির্বাচন অনুষ্ঠান কল্পনাও করা যেতো না। রবিবারের এই নির্বাচনে তিউনিশিয়া বিপ্লবের পরিচিত মুখ আবির মৌসিও অংশ নিয়েছেন। তবে তিনি ওই নির্বাচনে প্রায় ৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।

ইমাদ লেওনি নামের ২৬ বছর বয়সী এক তরুণ বলেন, ‘তার মতো একনায়কের অধ্যায় শেষ। আমরা ভুলতে পারি না যে, তিনি আমাদের দেশটাকে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। ২০১১ সালে আন্দোলনের সময় সাধারণ নাগরিককে তিনি হত্যার আদেশ দিয়েছিলেন।’