ইউরোপে লাখ লাখ শরণার্থী ঠেলে দেওয়ার হুমকি এরদোয়ানের

সিরিয়ার সীমান্ত এলাকায় তুরস্কের সামরিক অভিযানকে ইউরোপীয় দেশগুলো আগ্রাসন আখ্যা দিলে তাদের দিকে লাখ লাখ শরণার্থী ঠেলে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোয়ান। নিজ দল একে পার্টির আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে এই হুমকি দিয়েছেন তিনি।তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোয়ান

গত সোমবার (৭ অক্টোবর) সিরিয়ায় আইএসবিরোধী অভিযান চালানোর ঘোষণা দেয় তুরস্ক। সে সময় দেশটির প্রেসিডেন্ট রিস্যেপ তাইয়্যেব এরদোয়ানের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন বলেন, সন্ত্রাসী আস্তানা গুঁড়িয়ে দিতেই তুর্কি সীমান্তবর্তী সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে সামরিক অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আঙ্কারা। মধ্যপ্রাচ্যে আইএসবিরোধী লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র কুর্দিদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় তুরস্কের অভিযান শুরুর আগে সেখান থেকে নিজেদের সেনা সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই সিদ্ধান্তের জেরে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়ে অভিযানের বিষয়ে তুরস্ককে সতর্ক করে দেন তিনি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পাশাপাশি তুরস্কের এই অভিযানের সমালোচনা করেছে ইউরোপের কয়েকটি দেশও।

কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সের বিরুদ্ধে তুরস্কের এই সামরিক অভিযানের সমালোচনা করে বুধবার বিবৃতি দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, তথাকথিত সেফ জোন প্রতিষ্ঠার কথা বলে তুরস্ক ওই এলাকার দখল নিতে চাইছে। বিবৃতিতে বলা হয়, সিরীয় শরণার্থীদের জোর করে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা ইউএনএইচসিআর-এর ঘোষিত শরণার্থী বিষয়ক আন্তর্জাতিক মানদণ্ডকে অনুসরণ করবে না। বিবৃতিতে বলা হয়, জনসংখ্যাতাত্ত্বিক পরিবর্তনের যেকোনও চেষ্টা গ্রহণযোগ্য হবে না।

ইইউ-এর বিবৃতির পর সিরিয়া যুদ্ধের কারণে তুরস্কে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ৩৬ লাখ শরণার্থীর প্রসঙ্গ সামনে আনেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। বৃহস্পতিবার দলীয় আইনপ্রণেতাদের সামনে ইউরোপের উদ্দেশে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, আমরা দরোজা খুলে দেবো আর তোমাদের দিকে ৩৬ লাখ শরণার্থী পাঠিয়ে দেবো।