বুরকিনা ফাসোর মসজিদে বন্দুক হামলা, নিহত ১৬

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোর একটি মসজিদে বন্দুক হামলায় ১৬ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত ওউদালান প্রদেশের একটি মসজিদে ওই হামলা চালায়। এতে আরও দুই জন আহত হন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ নেশন’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

1795091-1764062579

নিরাপত্তা বাহিনীকে উদ্ধৃত করে ফরাসি সংবাদমাধ্যম এএফপি জানিয়েছে, ‘স্যালমোসির গ্রান্ড মসজিদে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১৩ জন ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছে এবং পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও তিনজন নিহত হন।’

নিরাপত্তা বাহিনীর এক কর্মকর্তা ওই হামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। তবে তিনি বিস্তারিত কোনও তথ্য দেননি। গোরম-গোরম শহরের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, হামলার পর আতঙ্কে ওই এলাকা পালিয়েছে বাসিন্দারা।

উল্লেখ্য, বুরকিনা ফাসো বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলোর একটি। ওই এলাকায় জঙ্গি হামলার ঘটনা নতুন নয়। প্রায়শই এই ধরনের হামলা হয় সেখানে। গত সেপ্টেম্বরেই এক হামলায় ওই অঞ্চলে ৬০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। সেখানে ২০১৫ সাল থেকে একটি সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে সরকার। তখন থেকে সেখানে ৫৮৫ জনের অধিক ব্যক্তি মারা গেছেন। বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির উৎপত্তি হয় মূলত প্রতিবেশী দেশ মালিতে। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু হয় প্রথমে উত্তরাঞ্চলে এবং পরে তা পূর্বাঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়ে।

মালির উত্তরাঞ্চল ও বুরকিনা ফাসোর সীমান্তবর্তী এলাকা বহুদিন ধরেই অস্থিতিশীল। ২০১২ সালে সেখানকার বহু এলাকা দখল করে নেয় আল-কায়েদাপন্থী জঙ্গিরা। এতে করে ওই এলাকার বিদ্রোহী গোষ্ঠী তুয়ারেগ কোণঠাসা হয়ে পড়ে। ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে ফ্রান্সের নেতৃত্বাধীন পাঁচ জাতির বাহিনী (জি-ফাইভ সাহেল নামে পরিচিত) অভিযান চালিয়ে জঙ্গিদের উৎখাত করলেও পরে ওই অঞ্চলের জন্য হুমকি হয়ে ওঠে জঙ্গিরা।

মালির উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা এর আগেও হামলার শিকার হয়েছেন। ২০১৩ সালে দেশটিতে উগ্রপন্থী ইসলামি গোষ্ঠী ও তুয়ারেগ যোদ্ধাদের বিদ্রোহ ঠেকাতে শান্তিরক্ষী মোতায়েন করা হয়। ২০১৫ সালে ১৬ দেশের বিভিন্ন শান্তি মিশনে দায়িত্ব পালনের সময় মোট ১২০ জন শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন।