রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে কাতালোনিয়ার ৯ নেতার কারাদণ্ড

রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে কাতালোনিয়ার স্বাধীনতাকামী ৯ নেতাকে কারাদণ্ড দিয়েছে স্পেনের সুপ্রিম কোর্ট। ২০১৭ সালে অঞ্চলটির স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলনের সময় ভূমিকার জন্য তাদের এ সাজা দেওয়া হয়েছে। আদেশে তাদের ৯ থেকে ১৩ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।12
মামলায় জাতীয় সরকারের প্রতি আনুগত্য অস্বীকারের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় অন্য তিন আসামিকে শুধু জরিমানা করা হয়েছে। তবে নিজেদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দণ্ডপ্রাপ্ত ১২ নেতা ও অধিকারকর্মী।

স্বাধীনতা প্রশ্নে গণভোটের পর গত বছরের অক্টোবরে স্পেন থেকে কাতালোনিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণা করে পুজদেমনের নেতৃত্বাধীন স্বাধীনতাকামীরা। এরপর স্পেনের জাতীয় সরকার কাতালোনিয়া সরকার ভেঙে দিয়ে পুজদেমনকে বরখাস্ত করে। রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে বিদেশে পালিয়ে যান পুজদেমন। তিনি এখন জার্মানিতে অবস্থান করছেন। সে সময় স্বাধীনতাকামীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা দায়ের করে স্পেনের কেন্দ্রীয় সরকার। তারপরও স্বাধীনতার দাবিতে বিভিন্ন সময় বিক্ষোভ-আন্দোলন করে আসছে স্বাধীনতাকামীরা।

রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় কাতালোনিয়ার সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও স্বাধীনতাকামী নেতা ওরিওল জানকুয়েরাসের ২৫ বছরের কারাদণ্ড চেয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি শেষে রাষ্ট্রদ্রোহ ও সরকারি তহবিলের অর্থ অপব্যবহারের অভিযোগে তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।

অন্য ৮ আসামিকে সর্বোচ্চ ৯ বছরসহ বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয় স্পেনের সুপ্রিম কোর্ট। দেশটির জাতীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অভিযোগে তাদের ওই সাজা দেওয়া হয়।

স্বাধীনতাকামীদের কারাদণ্ডাদেশের পর কাতালনের রাজধানী বার্সেলোনার রাস্তায় বিক্ষোভ করেছে স্বাধীনতাকামীরা। এ সময় তারা ‘রাজনৈতিক কারাবন্দিদের মুক্তি দিন’ ব্যানার প্রদর্শন করে সবাইকে রাস্তায় নামার আহ্বান জানায়।

এই ১২ কাতালান নেতার বেশিরভাগই বিগত সময়ে রাজ্য সরকার ও পার্লামেন্টের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এদের মধ্যে প্রভাবশালী অধিকারকর্মী ও আইনজীবী রয়েছেন।

রায় ঘোষণার আগে গত ১২ জুন যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ১২ আসামির প্রত্যককে তাদের বক্তব্য পেশ করার জন্য ১৫ মিনিট করে সময় দেন আদালত। সে সময় তারা মাদ্রিদের আদালতকে জানান, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। সূত্র: বিবিসি।