সিরিয়ায় তুর্কি অভিযান নিয়ে সতর্ক প্রতিক্রিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের

উত্তর পূর্ব সিরিয়ায় তুরস্কের সামরিক হস্তক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। তবে সোমবার এক বৈঠকের পর আঙ্কারার ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে একমত পারেননি তারা। তবে কয়েকটি সদস্য দেশের আঙ্কারায় অস্ত্র রফতানির লাইসেন্স স্থগিতের সিদ্ধান্তকে স্মরণ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে এটি জোরালো জাতীয় অবস্থানকেই ইঙ্গিত করে। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, এই সপ্তাহে ইইউ সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিরা বৈঠকে বসে তাদের অবস্থান পর্যালোচনা ও সমন্বয় করবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে করণীয় ঠিক করতে আইএসবিরোধী লড়াইয়ের আন্তর্জাতিক জোটেরও একটি মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক আহ্বানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইইউ।noname

লুক্সেমবার্গে ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের আলোচ্যসূচির শীর্ষে ছিলো সিরিয়ায় তুরস্কের অভিযান। সোমবার ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে তুরস্কের সামরিক কার্যক্রমের নিন্দা জানানো হয়। এই অভিযান পুরো অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন করছে আর বেসামরিক মানুষের দুর্ভোগ ও বাস্তুহারা হওয়ার আশঙ্কা বাড়াচ্ছে এবং মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা দিচ্ছে বলে মনে করে ইইউ।

গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ার পর ওই অঞ্চলের কুর্দি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে তুরস্ক। সোমবারের আলোচনার আগে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন ইয়েভস লা দ্রিয়ান বলেন, এই অভিযান মারাত্মক মানবিক বিপর্যয়ের কারণ হতে যাচ্ছে।

ওই অভিযান শুরুর জেরে জার্মানি, ফ্রান্সের পাশাপাশি সুইডেন, ফিনল্যান্ড ও নেদারল্যান্ড তুরস্কের কাছে অস্ত্র রফতানি স্থগিত করেছে। তবে আঙ্কারা বলছে এর প্রভাব খুবই সামান্য। সুইডেন চায় তুরস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করুক ইইউ। তবে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো মাস বলেন, তুরস্কের সঙ্গে আলোচনায় থাকা জরুরি। এটাতে সফল না হলে আমরা অন্য পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অবশ্যই প্রস্তুত থাকবো।