তুরস্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা ও বাণিজ্য আলোচনা স্থগিতের ঘোষণা ট্রাম্পের

উত্তরপূর্ব সিরিয়ায় সামরিক অভিযানের প্রতিক্রিয়ায় ন্যাটো মিত্র তুরস্কের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার তিনি  শিগগিরই তুরস্কের বর্তমান ও সাবেক কিছু কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের নির্বাহী আদেশ জারি করা হবে বলে জানান। একই সঙ্গে তুরস্কের সঙ্গে দশ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা স্থগিত ও তুরস্কের স্টিলের ওপর ৫০ শতাংশ কর বসানো হবে বলে জানান তিনি।noname

২০১৯ সালের ৯ অক্টোবর তুর্কি সীমান্তবর্তী সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ‘অপারেশন পিস স্প্রিং’ নামে সামরিক অভিযান শুরু করে তুরস্ক। এ অভিযানের মাধ্যমে অঞ্চলটি থেকে আইএস জঙ্গি ও কুর্দি বিদ্রোহীদের বিতাড়িত করে সেখানে একটি সেফ জোন প্রতিষ্ঠা করতে আগ্রহী আঙ্কারা। এ সেফ জোনে দীর্ঘদিন ধরে তুরস্কে বসবাসরত সিরীয় শরণার্থীদের বসবাসের ব্যবস্থা করতে চায় আঙ্কারা। তুর্কি অভিযানের আগে সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা শুরু হলে তুরস্ককে সীমা অতিক্রমের বিষয়ে সতর্ক করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

সোমবার টুইটারে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, তুরস্ক যদি এই ‘মারাত্মক ও ধ্বংসাত্মক পথ’ অব্যাহত রাখে তাহলে খুব দ্রুত তুরস্কের অর্থনীতি ধ্বংস করে দেওয়া হবে। প্রত্যাহার করে নেওয়া সেনা আবারও মোতায়েন করা হবে জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, তুরস্কের সামরিক অভিযান বেসামরিক মানুষকে বিপদগ্রস্থ করছে আর ওই অঞ্চলের শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার প্রতি হুমকি তৈরি করেছে।  

বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, আমি সঠিকভাবে (তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব) এরদোয়ানের সঙ্গে পরিস্কার রয়েছি: তুরস্কের কর্মকান্ড মানবিক সংকট এবং সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধের শর্ত তৈরির কারণ হচ্ছে। তুরস্ককে অবশ্যই ধর্মীয় ও নৃতাত্ত্বিক সংখ্যালঘুসহ বেসামরিক মানুষদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে আর এখন বা ভবিষ্যতে এই অঞ্চলে আটক আইএস সন্ত্রাসীদের দায় নিতে হবে।