আবারও বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন রাখাল বালক মোরালেস?

বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে এগিয়ে আছেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেস। রবিবারের (২০ অক্টোবর) ভোটে সরকার গঠনের জন্য তিনি প্রয়োজনীয় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে সক্ষম হননি। ফলে টানা চতুর্থ মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে হলে তাকে দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের মুখোমুখি হতে হবে। দেশটির নির্বাচনি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী ১৫ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফা ভোট অনুষ্ঠিত হতে পারে।

4716

দেশটির নির্বাচনি কর্তৃপক্ষ রবিবার রাতে জানিয়েছে, নির্বাচনে প্রাথমিকভাবে ৮৪ শতাংশ ভোট গণনা করা হয়েছে। এর মধ্যে ইভো নেতৃত্বাধীন মুভমেন্ট টুওয়ার্ডস সোশ্যালিজম (এমএএস) পেয়েছে ৪৫ দশমিক ৩ শতাংশ ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ক্যালোস মেসার দল পেয়েছে ৩৮ দশমিক ২ শতাংশ ভোট। ৮৪ শতাংশ ভোট গণনার পর স্থগিত করা হয়েছে।

বলিভিয়ায় সরকার গঠন করতে হলে তাকে ৫০ শতাংশের অধিক ভোট পেতে হবে। অথবা ৪০ শতাংশের অধিক ভোটের পাশাপাশি তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি থেকে ১০ শতাংশ ভোটে এগিয়ে থাকতে হবে। তবে রবিবারের ওই নির্বাচনে ভোটের ব্যবধান ১০ শতাংশের কম রয়েছে। এখন যদি দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের প্রয়োজন পড়ে তাহলে সেই নির্বাচন আগামী ১৫ ডিসেম্বর সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দুই দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।

রবিবার (২০ অক্টোরব) বলিভিয়ায় প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট ছাড়াও ৩৬ জন সিনেটর এবং চেম্বার অব ডেপুটিজের ১৩০ জনকে নির্বাচিত করতে ভোট দেন ভোটাররা। টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় থাকতে প্রার্থী হয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেস। এর আগে অন্যান্য প্রার্থীদের চেয়ে জনমত জরিপেও বেশ এগিয়ে তিনি। এর আগের নির্বাচনগুলোতে তিনি প্রথম দফাতেই নির্বাচিত হয়েছিলেন।

মোরালেস রবিবার জানিয়েছেন, ‘আমরা শেষ ভোট গণনা পর্যন্ত অপেক্ষা করব। তবে আমরা আবারও জয়ী হতে যাচ্ছি।’

নির্বাচনের এ ফলাফলকে গণতন্ত্রের বিজয় উল্লেখ করে সমমনাদের নিয়ে জোট গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন ক্যালোস মেসা। দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে ‘স্পষ্টত জয়ের’ জন্য অন্যান্য পার্টিকে তার দলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

২০০৬ সালে বলিভিয়ার প্রথম আদিবাসী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন মোরালেস। সেই থেকে বর্তমানে তৃতীয় মেয়াদে দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার চলতি তৃতীয় মেয়াদ শেষ হবে ২০২০। ৬৫ শতাংশ আদিবাসীর দেশ বলিভিয়ায় তিনিই প্রথম আদিবাসী প্রেসিডেন্ট। পরপর তিনটি নির্বাচনে তার প্রতি আস্থা রেখেছে বলিভিয়ার জনগণ। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী তিনবারের বেশি রাষ্ট্রপ্রধান হওয়ার বিধান না থাকায় গণভোটের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগ নেন মোরালেস।

দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও গণতন্ত্রবিরোধী কার্যক্রমের অভিযোগে সম্প্রতি মোরালেসের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে।