যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক মিত্রদেশসহ অন্তত ২০ টি দেশের সরকারি কর্মকর্তারা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছে বলে জানা গেছে। হোয়াটসঅ্যাপের নিজস্ব অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এই তথ্য। অনুসন্ধানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, হ্যাকিংয়ের শিকারদের মধ্যে পাঁচ মহাদেশের ২০টি দেশের অনেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা রয়েছেন।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) ইসরায়েলি আইটি প্রতিষ্ঠানে এনএসও বিরুদ্ধে অবৈধ নজরদারির অভিযোগ এনে মামলা করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। এক বিবৃতিতে হোয়াটসঅ্যাপ জানায়, ২০টি ভিন্ন দেশের প্রায় ১৪শ’ মোবাইল ফোনে ম্যালওয়্যার ভাইরাসটি পাঠিয়েছে এনএসও গ্রুপ।তাদের তালিকায় সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক এবং কূটনীতিক ব্যক্তিত্ব রয়েছে।
তখনই বলা হয়েছিলো এই সাইবার হামলায় রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে। ২৯ এপ্রিল থেকে ১০ মে পর্যন্ত অন্তত ১৪০০ গ্রাহকের সেলফোন হ্যাক করা হয়েছে। তবে মোট সংখ্যা এর চেয়েও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রযুক্তি সংশ্লিষ্টদের।
১ এপ্রিল লন্ডনের এক মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী তার ফোনে হ্যাকিং হওয়ার ছবি পাঠিয়েছিলেন। তবে এই হ্যাকিংয়ে কারা জড়িত তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান এনএসও তাদের সফটওয়ারটি সরকারি ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করেছিলো।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, হ্যাকিংরে শিকার অনেকে যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মেক্সিকো, পাকিস্তান এবং ভারতের নাগরিক। বেশ কয়েকজন ভারতীয় নাগরিক বিগত দিনগুলোতে প্রকাশ্যেই এটা নিয়ে অভিযোগ করে আসছিলো।