সিনাই উপত্যকায় ৮৩ জঙ্গিকে হত্যার দাবি মিসরীয় সেনাবাহিনীর

গত মাসে সিনাই উপত্যকার উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে বিভিন্ন অভিযানে ৮৩ জন সন্দেহভাজন জঙ্গিকে হত্যার দাবি করেছে মিসরের সেনাবাহিনী। তবে তারা কোন সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পৃক্ত সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ও মুসলিম ব্রাদারহুড নেতা মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকেই মিসরের সিনাই উপত্যকায় সংঘাত বাড়তে শুরু করে। noname

২০১৭ সালের শেষ দিকে এর উত্তরাঞ্চলে আধুনিক মিসরের ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা ঘটে। ওই সময়ে এক মসজিদে হামলা চালিয়ে ৩০০ জন মুসল্লিকে হত্যা করা হয়। তবে এর দায় স্বীকার করেনি কোনও গোষ্ঠী। সিনাই উপত্যকা থেকে আইএস ও এর সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠী দমনে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী। এসব অভিযানে হাজারো সন্দেহভাজন জঙ্গি ও সেনা সদস্য নিহত হয়েছে।

সোমবার মিসরের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন করে অভিযান শুরু করে তারা। এক মাসের অভিযানে ৮৩ জন সন্দেহভাজন জঙ্গি নিহত ছাড়াও ৬১ জন সন্দেহভাজন অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া ৩৭৬টি বিস্ফোরক উদ্ধার করে ধ্বংস করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে সেনাসূত্র।

সিনাই উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে প্রবেশের ক্ষেত্রে বেশ বছর ধরেই কড়াকড়ি রয়েছে। ফলে সেখানকার পরিস্থিতি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করতে পারেনি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।

এ বছরের মে মাসে সিনাই উপত্যকা নিয়ে ১৩৪ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। এতে অভিযোগ করা হয় মিসরের নিরাপত্তা বাহিনী বেসামরিক মানুষের ওপর ব্যাপক নিপীড়ন চালিয়েছে। এসব নিপীড়নের বেশ কিছু ঘটনা যুদ্ধাপরাধ বলে বিবেচিত হতে পারে বলে মন্তব্য করা হয় ওই প্রতিবেদনে।