ফ্রান্সের পণ্যে শতভাগ শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের

ফ্রান্সের পণ্যে শতভাগ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার ট্রাম্প প্রশাসনের বাণিজ্য বিষয়ক দূত রবার্ট লাইটহাইজার এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ফরাসি সংবাদমাধ্যম এএফপি।noname
ফ্রান্সে ডিজিটাল ট্যাক্সের আওতায় মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপের ঘটনায় পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে এ পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে ওয়াশিংটন। এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিষয়ক দূত রবার্ট লাইটহাইজার। তিনি বলেন, ওয়াশিংটনের স্পষ্ট বার্তা ফ্রান্সের বৈষম্যমূলক ডিজিটাল ট্যাক্সের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে যুক্তরাষ্ট্র।

এএফপি জানিয়েছে, ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের ফরাসি পণ্যে শতভাগ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ওয়াশিংটন। ফ্রান্সের ডিজিটাল ট্যাক্সকে ‘বৈষম্যমূলক’ হিসেবে আখ্যায়িত করে সোমবার এ পাল্টা প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেয় ট্রাম্প প্রশাসন।

ফ্রান্সের তৈরি যেসব পণ্যে শতভাগ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হতে পারে তার তালিকায় ফ্রেঞ্চ ওয়াইন, দই এবং রোকেফোর্ট চিজের মতো পণ্যসামগ্রী রয়েছে। ২০২০ সালের জানুয়ারির মাঝামাঝি নাগাদ এসব পণসামগ্রীকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হতে পারে।

এর আগে ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্ট নামের আইনে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয় ফ্রান্স। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিষয়ক দূতের দফতরের এক প্রতিবেদনে উঠে আসে এ আইনের ফলে গুগল, অ্যাপল, ফেসবুক ও অ্যামাজনের মতো বৃহৎ মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোকে বড় অঙ্কের শুল্ক গুণতে হবে। এর প্রতিক্রিয়া হিসেবেই পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ফরাসি মদে শুল্ক আরোপের উদ্যোগ নেয় ওয়াশিংটন।

আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থা নেওয়ার আগেই গত জুলাইয়ের শেষ দিকে এ ইস্যুকে কেন্দ্র করে ফরাসি মদের ওপর শুল্ক আরোপের হুমকি দেন ট্রাম্প। তার প্রশাসন মনে করে ওই ডিজিটাল অ্যাক্টে অন্যায্যভাবে মার্কিন কোম্পানিগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে। হোয়াইট হাউস মনে করে, এ সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে ফ্রান্স যুক্তরাষ্ট্রে তাদের প্রধান রফতানি পণ্যকেই হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে।