রাশিয়ার কাছ থেকে আরও এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কিনবে তুরস্ক

রাশিয়ার কাছ থেকে আরও এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কেনার চুক্তি করবে তুরস্ক। রাশিয়ার একটি সামরিক সহায়তা সংস্থার এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দুই দেশের কর্মকর্তারা নতুন চুক্তি স্বাক্ষরের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। উল্লেখ্য, আগের চুক্তি অনুযায়ী এ বছর রাশিয়ার কাছ থেকে দুটি এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা পেয়েছে তুরস্ক। এ নিয়ে সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আঙ্কারার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছেন। এর কয়েক দিনের মধ্যেই মস্কো-আঙ্কারার নতুন চুক্তির খবর জানিয়েছে রাশিয়ার বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স।noname

সাধারণত তুরস্ককে ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো। তবে প্রতিরক্ষা খাতে পুরোপুরি ইউরোপের ওপর নির্ভরশীল থাকতে চায় না আঙ্কারা। এজন্য তারা রাশিয়ার কাছ থেকেও অস্ত্র কেনায় মনোযোগী হয়। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে তুরস্ক রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কেনার ঘোষণা দেয়। তুরস্কের এই সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হয় যুক্তরাষ্ট্র। চুক্তি অনুযায়ী এবছরে দুই চালানে এসব ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা হাতে পেয়েছে আঙ্কারা। তুরস্কের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে যুক্তরাষ্ট্র দেশটির কাছে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রি স্থগিত করলেও এখনও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি।

তবে সম্প্রতি লন্ডনে অনুষ্ঠিত ন্যাটো সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তুরস্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ইঙ্গিত দেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমরা এটা এখন বিবেচনা করছি, এনিয়ে কথা বলছি’।

ট্রাম্পের ওই ইঙ্গিতের পর শুক্রবার রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানায়, নতুন করে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা নিয়ে চুক্তি করার কাজ চালাচ্ছে তুরস্ক ও রাশিয়ার কর্মকর্তারা। আগামী বছরে ওই চুক্তি চূড়ান্ত হতে পারে বলে আশা করছে মস্কো।

তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকর বলেছেন, ভালো লাগার জন্য নয় বরং প্রয়োজনে পড়ে রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ কিনেছে তার দেশ। মারাত্মক হুমকির কারণে এই ব্যবস্থা কেনা হয়েছে বলে দাবি করে আসছেন তিনি।