প্যারিসে ঐতিহাসিক জলবায়ু চুক্তি স্বাক্ষর

টানা দুই সপ্তাহ আলোচনার পর প্যারিসে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে ঐতিহাসিক জলবায়ু চুক্তিতে একমত হয়েছেন উপস্থিত বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে একমত হয়েছে সম্মেলনে অংশ নেওয়া প্রায় দুইশটি রাষ্ট্র। কার্বন নিঃসরণ কমাতে এই প্রথম বিশ্বের বিভিন্ন দেশ একমত হলো। বিবিসির খবরে বিষয়টি জানা গেছে।

শনিবার ফ্রান্সের প্যারিসে  কপ২১ সম্মেলনে এ চুক্তি অনুমোদিত হয়। চুক্তিতে ন্যায্য ও আইনসিদ্ধ বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে।  চুক্তি অনুযায়ী ২০২০ সাল থেকে কার্বন নিঃসরণ কমাতে শুরু করবে দেশগুলো। এ চুক্তিকে জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক অর্থনীতিকে কয়েক দশকের মধ্যে রূপান্তরের জন্য ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে।

এর আগে শনিবার জাতিসংঘের ছয়টি দাফতরিক ভাষায় অনুবাদের পর শনিবার বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সামনে এটি তুলে ধরা হয়।

দীর্ঘ প্রতিক্ষীত এ চুক্তির চূড়ান্ত খসড়া তৈরিতে হিমশিম খেতে হয় বিশ্বনেতাদের।

উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তার জন্য ধনী দেশগুলোকে ২০২০ সালের পর থেকে প্রতিবছর ১০ হাজার কোটি ডলার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে এতে। এছাড়া গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে বিভিন্ন দেশের প্রতিশ্রুতি ঠিকমত পালন হচ্ছে কি না পাঁচ বছর অন্তর তা পর্যালোচনার বিধান থাকছে।

চূড়ান্ত চুক্তির খসড়া প্রকাশের আগে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন গ্রিনপিসের আন্তর্জাতিক জলবায়ু রাজনীতিবিষয়ক প্রধান মার্টিন কায়সার। তার মতে, জীবাশ্ম জ্বালানি সংক্রান্ত ইস্যুগুলোতে অর্থায়নই এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ করা যাবে নাকি, তা করতে আরও সময় লাগবে তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, অর্থায়ন প্যাকেজ নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে। কারণ ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এটা একটা বিশাল পদক্ষেপ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফ্রান্সের একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এপিকে জানান, বর্তমান খসড়াটি আগের খসড়ার চেয়ে সাত পৃষ্ঠা কম। আগেরটি ছিল ২৭ পৃষ্ঠার। আর এখন এটি ২০ পৃষ্ঠার।

/এএ/