বুরকিনা ফাসোতে শিক্ষার্থীদের বাসে বিস্ফোরণ, নিহত ১৪

আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোতে শিক্ষার্থীদের বহনকারী একটি বাসে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাত শিশুসহ অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ১৯ জন। শনিবার (৪ ডিসেম্বর) মালির সীমান্তবর্তী উত্তরাঞ্চলীয় সৌরো প্রদেশে ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বা হাতে তৈরি এ বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।12
এখনও পর্যন্ত কোনও গোষ্ঠী এ বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি।

রবিবার সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, শনিবার শিক্ষার্থীদের বহনকারী বহরের একটি বাসে এ বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ওই বহরে মোট তিনটি বাসে ১৬০ জন যাত্রী ছিল। আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

গত মঙ্গলবার দেশটির প্রেসিডেন্ট মার্ক ক্রিশ্চিয়ান কাবোরে জোর দিয়ে দাবি করেছেন, সন্ত্রাসাবাদের বিরুদ্ধে বিজয় সুনিশ্চিত হয়েছে। এর ঠিক পাঁচদিনের মাথায় এ বিস্ফোরণ ঘটলো।

বুরকিনা ফাসোতে অনেকগুলো জঙ্গিগোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে। তবে সন্ত্রাসী হামলায় বেসামরিক নাগরিকদের নিহতের সংখ্যা বেশি হলে সাধারণত কোনও সংগঠনকে দায় স্বীকার করতে দেখা যায় না।

শনিবারের বিস্ফোরণের এক সপ্তাহ আগে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় অরবিন্দ শহরে জঙ্গি হামলায় ৩৫ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। নিহতদের বেশিরভাগই নারী।

গত কয়েক বছর ধরে বুরকিনা ফাসোর মালি সীমান্তে ইসলামি জঙ্গিবাদ ছড়িয়ে পড়েছে। ২০১৩ সালে এই এলাকাতেই অভিযান চালায় ফ্রান্সের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। ২০১৬ ও ২০১৭ সালে দেশটির রাজধানীতে বড় দুইটি হামলা চালানো হয়। মূলত বিদেশি পর্যটকদের লক্ষ্য করে ওই হামলা চালায় জঙ্গিরা।

জাতিসংঘের মতে, ধারাবাহিক হামলার কারণে দেশটির উত্তর ও পূর্বাঞ্চল থেকে ইতোমধ্যে ৫ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।

২০১৯ সালের নভেম্বরে সন্দেহভাজন জঙ্গিরা কানাডীয় খনি কোম্পানি সেমাফোর কর্মীবাহী একটি গাড়িবহরে হামলা চালায়। এতে ৩৭ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়।

ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ পেলেও বুরকিনা ফাসোর সেনাবাহিনী জঙ্গি দমনে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে আসছে।