নাইজারে জঙ্গি হামলায় অন্তত ২৫ সেনা নিহত

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারের একটি সামরিক ক্যাম্পে হামলায় অন্তত ২৫ সেনা নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও  ছয়জন। সরকারি এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) মালির সীমান্তবর্তী চিনাগর্দার ক্যাম্পে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের হামলায় তারা হতাহত হয়। ওই হামলায় কোনও সশস্ত্র গোষ্ঠী দায় স্বীকার করেনি। তবে ওই হামলার জন্য ইসলামি জঙ্গিদের দায়ী করেছে সরকার। সেনাবাহিনীর দাবি, ওই হামলার পর তাদের অভিযানে ৬৩ হামলাকারী নিহত হয়েছে। ওই অঞ্চলের জঙ্গিদের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের যোগসূত্র রয়েছে।

_110093580_gettyimages-1084045940

মালির উত্তরাঞ্চল বহুদিন ধরেই অস্থিতিশীল। ২০১২ সালে সেখানকার বহু এলাকা দখল করে নেয় আল-কায়েদাপন্থী জঙ্গিরা। পরে দেশটির সাহেল অঞ্চলে ইসলামপন্থী বিদ্রোহীদের দমনে সাড়ে চার হাজারেরও বেশি ফরাসি সেনা মোতায়েন করা হয়। ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে ফ্রান্সের নেতৃত্বাধীন পাঁচ জাতির বাহিনী (জি-ফাইভ সাহেল নামে পরিচিত) অভিযান চালিয়ে জঙ্গিদের উৎখাত করলেও পরে ওই অঞ্চলের জন্য হুমকি হয়ে ওঠে জঙ্গিরা। বর্তমানে পশ্চিম আফ্রিকার বুরকিনা ফাসো, মালি, মরিশানিয়া, নাইজার ও শাদে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালাচ্ছে তারা।

দেশটির সাহেল অঞ্চলে সেনা ক্যাম্পগুলো লক্ষ্য করে প্রায় জঙ্গিরা হামলা চালায়। দেশটির মরু অঞ্চল বিদেশিদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। এসব অঞ্চল থেকে প্রায় পর্যটকদের অপহরণ করে জঙ্গিরা। বৃহস্পতিবারের হামলাস্থলটি নাইজারের রাজধানী নিয়ামে থেকে ১৩০ মাইলের দূরের মরু এলাকা।  নাইজারের অলাভজনক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডাটা প্রজেক্টের তথ্য অনুযায়ী, সম্মিলিত বাহিনীর নিয়মিত অভিযান সত্ত্বেও ২০১৯ সালে গত বছরগুলোর তুলনায় চার গুণ বেশি হামলা হয়েছে। এতে অন্তত চার শতাধিক ব্যক্তি নিহত হয়েছে।

গত ১১ ডিসেম্বর দেশটির একটি সামরিক ক্যাম্পে জঙ্গিদের হামলায় অন্তত ৭১ সেনা নিহত হয়েছে। দেশটিতে ওটাই ২০১৯ সালের সবচেয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা।