ডিআর কঙ্গোয় জাতিগত সহিংসতায় দুই বছরে নিহত সাত শতাধিক: জাতিসংঘ

আফ্রিকার দেশ ডিআর কঙ্গোয় হেমা ও লেন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে সহিংসতায় ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অন্তত সাত শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ১৬৮ জন। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিগত ওইসব সহিংসতায় হেমা সম্প্রদায়ের মানুষই বেশি হতাহত হয়েছে।

thumbs_b_c_02c7305513d026050e6d3ec35c1e3bc1

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশিরভাগ সময়ে হেমা সম্প্রদায়ের দিজুগু ও মাহাগি গোত্র লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। সহিংসতার সময় তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণসহ নানা রকমের অপরাধ সংঘটিত হয়। এতে অন্তত ১৪৩ জন যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে লেন্দু সম্প্রদায়ের সশস্ত্র গোষ্ঠী বড় ধরনের হামলা চালায়। মূলত হেমা ভূমির নিয়ন্ত্রণ, ফসলের ক্ষতি ও সম্পদ করায়ত্ত করতে ওই হামলা চালায় তারা। ওই সময় স্কুল ও হাসপাতালও ধ্বংস করা হয়েছে। তাদের বাড়িঘর ও গ্রামে আগুন দিয়েছে ওই সশস্ত্র গোষ্ঠী।

জাতিসংগের হাইকমিশনার ফর হিউম্যান রাইটসের মুখপাত্র রুপার্ট কলভিল জেনেভায় বলেছেন, ডিআর কঙ্গোর জয়েন্ট হিউম্যান রাইটস কার্যালয়ের তদন্তের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া ও লুট করা, স্কুলের পোশাক পরিহিত শিক্ষার্থীদের হত্যা এবং নারী ধর্ষণের সংখ্যা বিবেচনায় নিয়ে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।

প্রতিবেদনের পর সুপারিশে বলা হয়েছে, হতাহতদের ক্ষতিপূরণ, সহিংসতার স্বাধীন তদন্ত এবং হেমা ও লেন্দু সম্প্রদায়ের হিংসার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংগ।