ইমরান খানকে দিল্লি সফরের আমন্ত্রণ জানাবে ভারত

চলতি বছর সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করবে ভারত। সরকার প্রধানদের এই সম্মেলনে সংস্থাটির প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী আমন্ত্রণ জানানো হবে আট সদস্য দেশের পাশাপাশি চার পর্যবেক্ষক ও আন্তর্জাতিক আলোচনা সহযোগীদেরও। বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবিশ কুমার জানিয়েছেন, এই সম্মেলনে সদস্য দেশের সরকারপ্রধান হিসেবে আমন্ত্রণ পাবেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান

চীনের নেতৃত্বাধীন অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা জোট এসসিও। ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত জোটটিতে ২০১৭ সালে সদস্যপদ পায় ভারত ও পাকিস্তান। বাকি সদস্য দেশগুলো হলো চীন, কিরগিজস্তান, কাজাখস্তান, রাশিয়া ও তাজিকিস্তান। এছাড়া বর্তমানে এসসিওর পর্যবেক্ষক হিসেবে আছে আফগানিস্তান, বেলারুস, মঙ্গোলিয়া ও ইরান। আর আলোচনা সহযোগী দেশ হিসেবে রয়েছে আর্মেনিয়া, কম্বোডিয়া, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও তুরস্ক।

প্রথমবারের মতো এসসিও সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে ভারত। আগামী অক্টোবরে ওই সম্মেলনে ইমরান খানের অংশ নেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ইসলামাবাদ। গত কয়েক বছর সরকার প্রধানের বদলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এসসিও সম্মেলনে পাঠিয়েছে কোনও কোনও দেশ। তবে ইমরান খান দিল্লি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এটাই হবে তার প্রথম ভারত সফর। এতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ ঘটবে তার। ফলে দুই দেশের সম্পর্কের অচলাবস্থা নিরসনের সুযোগ ঘটবে বলে মনে করেন অনেকে।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় আধাসামরিক বাহিনীর ৪০ সদস্য নিহত হলে দুই দেশের সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়। ওই হামলার জন্য পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিদের দায়ী করে ভারত। দিল্লির অভিযোগ, ওই জঙ্গিদের মদত দেয় ইসলামাবাদ। পরে আগস্টে ভারত কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ নিয়ে সরব হয়ে ওঠে পাকিস্তান।