সৌদি যুবরাজের বিরুদ্ধে তদন্ত চায় জাতিসংঘ

বিশ্বের শীর্ষ ধনী ও অ্যামাজনের প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোসের ফোন হ্যাকিংয়ে সৌদি যুবরাজের সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, হ্যাংকিয়ে মোহাম্মদ বিন সালমানের ‘সম্ভাব্য সংশ্লিষ্টতা’ নিয়ে তদন্ত হওয়া আবশ্যক।

bezos-hack-80২০১৮ সালের মার্চ মাসে হ্যাকিং এর কবলে পড়ে ওয়াশিংটন পোস্টের মালিক অ্যামাজনের জেফ বেজোসের মোবাইল ফোন। তার ফোন থেকে হ্যাকাররা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের গোপন ছবি ও তথ্য চুরি করে তা প্রকাশের জন্য ‘ন্যাশনাল এনকোয়ারার’ নামে একটি মার্কিন ম্যাগাজিনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে সৌদি যুবরাজের ফোন থেকেই ওই হ্যাকিং হয়েছিল।

সৌদি আরব দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবদেনকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে। তবে জাতিসংঘের বিচারবহির্ভূত হত্যা বিষয়ক বিশেষ দূত অ্যাগনেস কালামার্ড ও বাকস্বাধীনতা বিষয়ক বিশেষ দূত ডেভিড কায়েল বলেছেন,  বেজোসের ওপর আক্রমণের প্রচেষ্টার তদন্ত হওয়া দরকার।    

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দুই ধনী ব্যক্তি যুবরাজ ও বেজোসের মধ্যে মূলত বন্ধুত্বপূর্ণ বার্তা আদানপ্রদান হতো। ২০১৮ সালের ১ মে হোয়াটসঅ্যাপে তারা একই ধরনের বার্তা বিনিময় করেন। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বেজোসের মোবাইল ফোন থেকে বিপুল পরিমাণ তথ্য চুরি হয়ে যায়।

বুধবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নিজস্ব হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট থেকে একটি এনক্রিপ্টেড ভিডিও ফাইল পাঠানো হয়েছিল জেফ বেজোসের অ্যাকাউন্টে। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বেজোসের ফোন থেকে যাবতীয় তথ্য হাতিয়ে নেওয়া হয়। 

বেজোসের মালিকানাধীন প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াশিংটন পোস্টকে ট্রাম্পের শীর্ষ সমালোচক মনে করা হয়। ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে নৃশংসভাবে খুন হওয়া খাশোগি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সংবাদমাধ্যমে সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে। জীবদ্দশায় খাশোগি দ্য ওয়াশিংটন পোস্টে কলাম লিখতেন।