চীনে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৬

চীনে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৬ জনে দাঁড়িয়েছে। আর দেশজুড়ে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৮১ জন। মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই হুবেই প্রদেশের বাসিন্দা। এ প্রদেশের রাজধানী উহান শহর থেকেই ভাইরাসটির উৎপত্তি। ২৪ জানুয়ারি শুক্রবার চীনা সংবাদমাধ্যম ও দেশটির কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।noname
উহান শহর থেকে উৎপত্তি হওয়া এ ভাইরাস ইতোমধ্যেই রাজধানী বেইজিংসহ চীনের ২৯টি প্রদেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

গত ২০ বছরে চীন এবং বাকি বিশ্বের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট যোগাযোগ দ্রুত সম্প্রসারিত হয়েছে। উহানের এক কোটি ১০ লাখ বাসিন্দা এখন সরাসরি ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন গন্তব্যের পাশাপাশি বাড়ির কাছের সিউল, ব্যাংকক, কুয়ালালামপুর ও সিঙ্গাপুরের মতো শহরে যেতে পারে। সে কারণেই ভাইরাসটি চীনের বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে।

জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, তাইওয়ান ও সৌদি আরবসহ অন্তত ১১টি দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উহান শহরে গণপরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শহর থেকে বের হওয়ারও অনুমতি মিলছে না বাসিন্দাদের।

এদিকে শনিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া চান্দ্র নববর্ষের সপ্তাহব্যাপী ছুটিতে লাখ লাখ চীনা নাগরিকের ভ্রমণের পরিকল্পনা বা কর্মসূচি রয়েছে। এতে করে এ ভাইরাসে সংক্রমণের হার আরও ত্বরান্বিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিশ্বজুড়ে ভাইরাসটির ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের বিমানবন্দরগুলোতে যাত্রীদের পরীক্ষা করা হচ্ছে। বিশেষ করে চীন ফেরত যাত্রীদের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখা হচ্ছে।

ভাইরাসজনিত ঠান্ডা বা ফ্লু-র মতো হাঁচি-কাশির মাধ্যমে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি বা নিউমোনিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা যাবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ভাইরাসটির প্রাথমিক উৎস কোনও প্রাণী হতে পারে। তবে চীনা কর্মকর্তারা মনে করছেন, এর সঙ্গে উহানের একটি সামুদ্রিক খাবারের বাজারের সম্পর্ক রয়েছে। কেননা স্থানীয় ওই বাজারে যারা যাতায়াত করেছেন, তাদের মধ্যেই প্রথম এ ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে।

এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসের কোনও ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হওয়ায় এর সংক্রমণ থেকে বাঁচতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।