গাম্বিয়া সফরে এরদোয়ান

আফ্রিকার তিন মুসলিম দেশ সফরের অংশ হিসেবে সোমবার গাম্বিয়া গেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। সফরে দেশটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই, লিবিয়া সংকট ও ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।noname
এর আগে রবিবার আলজেরিয়া যান এরদোয়ান। সেখান থেকে সোমবার বিকালে তিনি গাম্বিয়া পৌঁছান। এরপর সেনেগাল সফরের কর্মসূচি রয়েছে তার।

গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আদামা বরোর সঙ্গে এরদোয়ানের বৈঠকে সন্ত্রাসবাদ দমনের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পায়। ২০১৬ সালে তুরস্কে গুলেনপন্থীদের ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের পর আঙ্কারার পাশে দাঁড়িয়েছিল দেশটি। ওই সময়ে গুলেন নেটওয়ার্কের স্কুলগুলো বন্ধ করে দেয় গাম্বিয়া। এদিনের বৈঠকেও এ বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়টি প্রাধান্য পায়।

বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সামরিক সহযোগিতার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন দুই নেতা। এই সহযোগিতা কার্যকর হলে আফ্রিকায় তুরস্কের সামরিক উপস্থিতি আরও সংহত হবে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।

গাম্বিয়া হচ্ছে আফ্রিকার ২৮তম দেশ, যেখানে সরকার কিংবা রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে সফরে গেলেন এরদোয়ান। শিক্ষা, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের মতো নানা বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।

উল্লেখ্য, রোহিঙ্গা গণহত্যার দায়ে আফ্রিকার ক্ষুদ্র রাষ্ট্র এই গাম্বিয়াই মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক আদালতের কাঠগড়ায় তুলেছে। মামলায় মিয়ানমারের গণহত্যা প্রমাণে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মামাদু তাঙ্গারা এবং অ্যাটর্নি জেনারেল ও বিচারমন্ত্রী আবুবকর মারি তামবাদু।

বেসরকারি সংস্থা নো পিস উইদাউট জাস্টিস-এর একজন পরিচালক অ্যালিসন স্মিথ বলেন, গাম্বিয়া এমন একটি দেশ, যারা কিছুকাল আগেই একনায়কতান্ত্রিক শাসন থেকে মুক্তি পেয়েছে। এমন একটি দেশ যে রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচারের ক্ষেত্রে নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়েছে তা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। অন্য দেশগুলোরও উচিত এ দৃষ্টান্ত অনুসরণ করা। সূত্র : ডেইলি সাবাহ, বিবিসি।