জাতিসংঘের সহায়তায় লিবিয়া থেকে ফিরলো প্রায় দেড়শ বাংলাদেশি

জাতিসংঘের সহায়তায় যুদ্ধবিধ্বস্ত লিবিয়া থেকে ১৪৮ জন বাংলাদেশি অভিবাসী দেশে ফিরে এসেছেন। বুধবার আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার এক বিশেষ বিমানে করে তারা ঢাকা পৌঁছান। তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

thumbs_b_c_b438aae25cf65132907b1bc926a85029

উন্নত জীবনের আশায় প্রায় বাংলাদেশ থেকে অনেকে লিবিয়ায় পাড়ি দেন। পাচারকারীরে ফাঁদে পা দিয়ে অনেকেই বিপদে পড়েন।  ফিরে আসা অভিবাসীদের মধ্যে আছে যুদ্ধে আহত, সমুদ্রপথে ইউরোপ যেতে ব্যর্থ এবং লিবিয়ার জেলে বন্দী থাকা অভিবাসীরা।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার বাংলাদেশের যোগাযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম বলেন,মঙ্গলবার মিসরাতা বিমাবন্দর থেকে রওনা দিয়ে হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়।

৯ বছর আগে ২৬ বছর বয়সী তুহিন ফরিদপুর থেকে লিবিয়া জানন। সেখানে তিনি পরিচ্ছন্নকর্মী হিসেবে কাজ করেন। ২০১৪ সালে তিনি ঢাকা ফিরে আসতে চাইলেও তার কাছে টাকা ছিলো না। তিনি বলেন, ‘আমি সেখানে দুর্বিসহ দিন কাটিয়েছি। কাজেও যেতে পারছিলাম না। জমানো টাকাও ছিলো না। দেশেও ফিরতে পারছিলাম না।’

আকবর নামে আরেকজন অভিবাসী জানান, তিনি চাকরি পেলেও বেতন ভালো ছিলো না। ফলে সেখানে থাকা তার জন্য কঠিন ছিলো। এর মধ্যেই একদিন বিমান হামলায় চার বাংলাদেশিসহ ১৩ জন মারা যায়। এই দৃশ্য দেখার পর ফিরে আসার জন্য উদগ্রীব ছিলেন তিনি। 

বাংলাদেশের আইওএম মিশন প্রধান জর্জি গিাউরি বলেন, লিবিয়ায় যুদ্ধ চলায় আমরা বাংলাদেশি অভিবাসীদের সুরক্ষা নিশ্চিতে কোনও ত্রুটি রাখিনি। আমরা চাই তারা যেন দেশে ফিরে আসারও সুযোগ পাই।

২০১৫ সাল থেকে সেচ্ছায় ফিরে আসার এই প্রকল্পে এখন পর্যন্ত ১৪০০ বাংলাদেশি লিবিয়া থেকে দেশে ফিরে এসেছে।