ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে জাতিসংঘের পদক্ষেপ কামনা ফিলিস্তিনের

আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে জাতিসংঘ সফর করবেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। তার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ওই সফরে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন মধ্যপ্রাচ্য পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যানের বিষয়টি নিরাপত্তা পরিষদের সামনে তুলে ধরবেন তিনি। আব্বাস একটি খসড়া প্রস্তাবও উত্থাপন করা হবে বলে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) জানিয়েছেন মুখপাত্র রিয়াদ মানসুর। তবে কবে এই সফর অনুষ্ঠিত হবে তা স্পষ্ট করেননি তিনি।ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস

গত ২৮ জানুয়ারি বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে পরিকল্পনা প্রকাশের সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। উন্মোচনের আগে থেকেই এই পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করে আসছে ফিলিস্তিনিরা। ট্রাম্পের পরিকল্পনায় ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে এবং রাজধানী হিসেবে পূর্ব জেরুজালেম প্রস্তাব করা হয়েছে। কিন্তু অবিভক্ত জেরুজালেমকে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে দেওয়া হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই প্রস্তাবে ইসরায়েলের অবৈধ দখলদারিত্বের স্বীকৃতি হিসেবে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

বুধবার মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র রিয়াদ মানসুর সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে সম্ভাব্য সবচেয়ে জোরালো খসড়া প্রস্তাব তৈরির চেষ্টা করবো এবং সেটির পক্ষে সবচেয়ে বেশি ভোট পেতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবো’। তিনি বলেন, ‘নিঃসন্দেহে আমরা ট্রাম্পের এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে একটি জোরালো এবং বড় আকারের বিরোধিতা দেখতে চাইবো’।

ফিলিস্তিনিদের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব আনা হলেও তা পাস হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ এই ধরনের যেকোনও প্রস্তাব আনা হলে তাতে ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করবে যুক্তরাষ্ট্র। সে ক্ষেত্রে প্রস্তাবটি সাধারণ পরিষদে উত্থাপন করা হতে পারে। সেখানে প্রস্তাবটি পাস হলেও আইনগত বাধ্যবাধকতা থাকবে না। তবে ট্রাম্পের পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কিভাবে গ্রহণ করেছে তা ভোটাভুটিতে প্রতিফলিত হবে। রিয়াদ মানসুর বলেন, জাতিসংঘে সফরের মাধ্যমে মাহমুদ আব্বাস ট্রাম্প প্রশাসনের পরিকল্পনাটির বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি জনগণ ও নেতৃত্বের প্রতিক্রিয়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামনে তুলে ধরবেন।