করোনায় উদ্বিগ্ন দক্ষিণ কোরিয়া, পদক্ষেপ জোরদার

দক্ষিণ কোরিয়ায় উদ্বেগজনক হারে বেড়ে চলেছে করোনা ভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রান্তের সংখ্যা। বৃহস্পতিবার ৫৩ জন নতুন আক্রান্তকে শনাক্তের পর শুক্রবার আরও ৫২ জনকে আক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সবমিলিয়ে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫৬ জনে। সাম্প্রতিক এই বাস্তবতাকে ‘জরুরি পরিস্থিতি’ বলে বর্ণনা করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী চুং সাই-কিয়ুন। কভিড-১৯ মোকাবিলায় জোরদার করা হয়েছে পদক্ষেপ।

noname

চীনের হুবেই প্রদেশে করোনা ভাইরাসে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা কমতে শুরু করলেও বৃহস্পতিবার আরও ১১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দেশটির স্বাস্থ্য কমিশনের নিয়মিত বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়েছে। এনিয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ২২৩৩ জনে পৌঁছেছে। চীনের বাইরে এর হংকং, ফিলিপিন্স, ফ্রান্স এবং জাপানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার পর দেশটির দুই দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর দায়েগু ও চেয়ংদোকে ‘স্পেশাল কেয়ার জোন’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, চীন ও জাপানে আটকা থাকা প্রমোদতরীর পর সবচেয়ে বেশি কভিড-১৯ আক্রান্তের দেশে পরিণত হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। শুক্রবার নতুন ধরা পড়া ৫২ জন আক্রান্তের মধ্যে ৪১ জনই দায়েগুর বাসিন্দা। এদের মধ্যে ৩৯ জনই একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সদস্য। বৃহস্পতিবার দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।


দেশটির প্রধানমন্ত্রী চুং বলেছেন, আক্রান্ত ব্যক্তিদের সং¯পর্শে এসেছেন এমন মানুষদের তাৎক্ষণিকভাবে খুঁজে বের করতে হবে ও রোগীদের চিকিৎসা দিতে হবে। সরকার অসুস্থদের জন্য শয্যা, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রস্তুত করছে। তিনি সতর্ক করেন যে, ভাইরাসটি এখন স্থানীয়ভাবে ছড়াচ্ছে।