লিবিয়ায় নিযুক্ত জাতিসংঘ দূতের পদত্যাগ

লিবিয়ার সংঘাত নিরসনে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত ঘাসান সালামে পদত্যাগ করেছেন। এক টুইট বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, উত্তর আফ্রিকার দেশটিতে শান্তি আনতে গিয়ে যে বিপুল চাপের মুখোমুখি হয়েছেন তা আর বহন করতে পারছেন না তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, সালামের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে ত্রিপোলিভিত্তিক জাতিসংঘ সমর্থিত লিবিয়ার সরকার ও বিদ্রোহী নেতা খলিফা হাফতারের বাহিনীর মধ্যকার আলোচনায় অনিশ্চয়তা তৈরি হতে পারে।লিবিয়ায় শান্তি আনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন ঘাসান সালামে

২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের সহিংসতা আর বিভক্তিতে জর্জরিত হয়ে আছে লিবিয়া। গত প্রায় পাঁচ বছর ধরে দেশটিতে সক্রিয় রয়েছে দুটি সরকার। রাজধানী লিবিয়ার দখল নিতে জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারের বিরুদ্ধে গত বছরের এপ্রিল থেকে অভিযান শুরু করেছে হাফতারের বাহিনী। দেশটিতে শান্তি স্থাপনে গত সপ্তাহে উভয় পক্ষকে নিয়ে জেনেভায় আলোচনায় বসেন জাতিসংঘ দূত ঘাসান সালামে। তবে দুই পক্ষের প্রতিনিধিরা আলোচনা বাতিল করে দেয়।

সোমবার এক টুইট বার্তায় ঘাসান সালামে বলেন, গত আড়াই বছর ধরে তিনি লিবিয়ার জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করেছেন। বিদেশি হস্তক্ষেপ ঠেকানোর মাধ্যমে দেশটির ঐক্য বজায় রাখারও চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি আর এই মাত্রার চাপ নিতে পারছি না আর সেকারণে (জাতিসংঘের) মহাসচিবের কাছে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়েছি’।

উল্লেখ্য, তেল সমৃদ্ধ দেশ লিবিয়ার গৃহযুদ্ধে বিদেশি হস্তক্ষেপ পরিস্থিতিকে আরও বেশি জটিল করে তুলেছে। রাজধানী ত্রিপোলি থেকে পরিচালিত সরকারকে সমর্থন দিয়েছে জাতিসংঘ, তুরস্কসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বড় অংশ। আর দেশটির পূর্বাঞ্চল থেকে পরিচালিত জেনারেল খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন অপর সরকারটিকে সমর্থন দিচ্ছে মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান, সৌদি আরব,ও ফ্রান্স।

গত মাসে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস লিবিয়ায় ‘ছায়া যুদ্ধ’ চলছে উল্লেখ করে বলেন এটা অগ্রহণযোগ্য। ওই মাসেই লিবিয়ায় অস্ত্র পৌঁছানো ঠেকাতে নতুন একটি নৌ ও বিমান শুরুর বিষয়ে সম্মত হয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।